হায়দার রিভিউ : হয়তো বিশাল ভরদ্বাজের শ্রেষ্ঠ ছবি
হ্যামলেটকে ছবির পর্দায় তুলে ধরাটা কিন্তু খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। আর সেই জন্যই তো চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করেছিলেন বিশাল। আর তাতে আক্ষরিক অর্থেই সফলও তিনি।
১৯৯৫ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে ছবিটি। যখন কাশ্মীরে আতঙ্কবাদ তার চরম সীমায় রয়েছএ। কিছু দিনের ব্যবধানে বাড়ি ফিরল হায়দার (শাহিদ)। তাঁর বাবা (ঝা) কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে। অনুমান, একটি সেনার কঠোর সিস্টেমের মধ্যে পড়ে তাঁর স্ত্রী (তাবু) কে ছেড়ে চলে যান। মা হায়দারের রাজনৈতিকভাবে উচ্চাভিলাষী কাকার (কে কে মেনন) ঘণিষ্ঠ ছিলেন। হায়দারের জীবনের আরসিয়াই (শ্রদ্ধা কাপুর) ছিল একমাত্র অক্সিজেন। আর ছিল দুই পুরনো বন্ধু।
এই ছবির মূল আকর্ষণ কাশ্মীর। বিরোধীদের আক্রমণে নাজেহাল কাশ্মীরকে যেভাবে দেখানে হয়েছে তা হল এই ছবির ইউএসবি। জঙ্গী ও সেনার লড়াই। বলিউডে দেখানে কাশ্মীরের, ডাল লেকের মধুর স্মৃতি এই ছবিতে উধাও। এই ছবির বেশ কিছু দৃশ্য রয়েছে যা দেখলে শরীরের রক্ত হিম হতে বাধ্য।
ছবির সেটটিও এত সুন্দরভাবে মানানসই বানানো হয়েছে যা এই ছবিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা গিয়েছে। এই ছবির বড় পাওয়া শাহিদ কাপুর। নিজের অভিনয় দক্ষতা এর আগেও বহুবার প্রমাণ করেছেন শাহিদ। কিন্তু হায়দারের শাহিদ বুঝিয়ে দিল তার এখনও অনেক কিছু দেওয়ার রয়েছে চলচ্চিত্র জগতকে। তিনি ঋতিক-রণবীরের মতো হয়তো সুপার স্টার নন তবে তিনি যে বড় মাপের অভিনেতা এবং পঙ্কর কাপুরের ছেলে তা হায়দারে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন শাহিদ।
কিন্তু তবু এছবির হৃৎযন্ত্র তাবু। আলোর মধ্যে তো উজ্জ্বল ছিলেনই তাবু, কিন্তু অন্ধকারেও সমান দৃপ্ত, উজ্জ্বল, চকচকে ছিল তাঁর উপস্থিতি। ছবির একটি দৃশ্যে টাবু আয়নার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন যখন তার ছেলে তাঁকে চুমু খাবে। এই দৃশ্যটিতে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবেই উঠবে।
এই ছবিতে আর একটি মুখ্য চরিত্র ক্লডিয়াস যা পালন করেছেন কেকে মেনন। হয়তো বিশালের সঙ্গে কেকে মেননেরও সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনয় এই ছবিতেই। শ্রদ্ধাও নিজের চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্য। তবে মনে দাগ কাটার মতো কিছু ন।