কলাবউ গণেশের বউ নয়, মহামায়ার ভিন্ন রূপ
বাস্তবে অবশ্য ন'টি পাতার সঙ্গে সঙ্গে শিকড়ও থাকে। এগুলি হল কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, দাড়িম, অশোক, মান ও ধান। একটি কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি উদ্ভিদের শিকড় ও পাতা বেঁধে দেওয়া হয়। অপরাজিতা লতা দিয়ে এই বাঁধুনির কাজ করা হয়। তার পর লাল পাড়ওয়ালা সাদা শাড়ি জড়িয়ে তাকে ঘোমটাপরা বধূর আকার দেওয়া হয়। সিঁদুর পরানো হয়। নবপত্রিকার প্রচলিত নাম হল 'কলাবউ'।
আরও
পড়ুন:
কল্পারম্ভ
থেকে
সন্ধি
পুজো:
মাতৃবন্দনার
নানা
মাহেন্দ্রক্ষণ
আরও
পড়ুন:
ছিল
রাজরাজড়ার
পুজো,
১৭৯০
থেকে
সর্বজনীন
হয়
দুর্গোৎসব
আরও
পড়ুন:
ব্রহ্মার
বরে
ছিল
ফাঁক,
ফাঁকিটাই
বুঝতে
পারেননি
উচ্চাকাঙক্ষী
মহিষাসুর
নবপত্রিকা ন'জন দেবীর প্রতীক। কলা রূপে ব্রহ্মাণী, কচু রূপে কালিকা, হলুদ রূপে উমা, জয়ন্তী রূপে কার্তিকী, বেল রূপে শিবানী, দাড়িম রূপে রক্তদন্তিকা, অশোক রূপে শোকরহিতা, মান রূপে চামুণ্ডা এবং ধান রূপে লক্ষ্মী। শাস্ত্রে নবপত্রিকাকে বলা হয়েছে 'নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা'।
মহাসপ্তমীর দিন সকালে জলাশয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নবপত্রিকাকে। পুরোহিত কাঁধে করে নিয়ে যান। পিছন পিছন ঢাকিরা যায় ঢাক বাজাতে বাজাতে। স্নানের পর নবপত্রিকা বা কলাবউকে লালপাড়ওয়ালা সাদা শাড়ি পরানো হয়। সিঁদুর দেওয়া হয়। দুর্গার ডানদিকে তথা গণেশের পাশে স্থান দেওয়া হয় নবপত্রিকাকে। কলাবউকে সাধারণ মানুষ গণেশ ঠাকুরের বউ বললেও আসলে কিন্তু নবপত্রিকা মহামায়ার ন'টি রূপ।
মনে করা হয়, ন'টি উদ্ভিদের পুজো করে আসলে ভারতের প্রাচীন কৃষি ব্যবস্থার কথাই তুলে ধরা হয়। কৃষিপ্রধান দেশে যাতে শস্যের ফলন ভালো হয়, তাই ন'টি উদ্ভিদের পাতা ও শিকড়কে দেবী রূপে পুজো করা হয়।