তামিলনাড়ুর স্কুলে ৯৪ শিশু পুড়ে মরার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ১০
কুম্বকোনমের কৃষ্ণা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ২০০৪ সালের ১৬ জুলাই আগুন লাগে। একটি রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়েছিল। স্কুলটি যে রাস্তায় ছিল, সেটি ছিল একটি তস্য সরু গলি। কাসিরামন স্ট্রিট। কৃষ্ণা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ছাড়াও একই কর্তৃপক্ষের আওতায় আরও দু'টি স্কুল ছিল সেখানে। ৭০০ পড়ুয়া থাকলেও সেখানে অগ্নি নির্বাপণের উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। অভিভাবকরা এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেও তাতে কাজ হয়নি। ফলে আগুন লাগায় ৯৪ জন শিশু জীবন্ত ঝলসে মারা যায়।
এই ঘটনার পর ২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়। ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিচারপর্ব শুরু হয়েছিল। ৪৮৮ জন এই মামলা সাক্ষ্য দেয়। ১৮ জন শিশুও সাক্ষ্য দিয়েছিল। এ দিন বিচারক ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই তালিকায় রয়েছে স্কুলে প্রতিষ্ঠাতা তথা মালিক পুলাবর পালানিস্বামী, তার স্ত্রী সরস্বতী, স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা সান্ত্বনালক্ষ্মী প্রমুখ। পুলাবর পালানিস্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর সান্ত্বনালক্ষ্মীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও সাত থেকে দশ বছর মেয়াদের জেল হয়েছে। প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে ১১ জনকে।
এই ঘটনা যখন ঘটে, তখন দেশ জুড়ে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। শিশুদের পোড়া শব দেখে জনমত ক্ষেপে উঠেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তার জেরেই সে সময় পুলিশ নড়েচড়ে বসে। তাও মামলার রায় ঘোষণা হতে দশ বছর লেগে গেল।