কেজরিওয়ালের টুইট, ২৪ ঘণ্টায় ৮১ লক্ষ টাকা চাঁদা দলীয় তহবিলে
মঙ্গলবার সন্ধে ৭-৩৮ নাগাদ বারাণসী থেকেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি টুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, "বারাণসী পৌঁছেছি। ২০ তারিখ আমেঠি যাব। মোদী আর রাহুলের সঙ্গে লড়তে সাদা টাকা চাই। যদি আপনি আমাদের টাকা দিতে চান, তা লে এসএমএস করুন।" এই টুইটটি দলের ১৭০০ জন সমর্থক রিটুইট করেন। এর জেরে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে বার্তা। ব্যস! চাঁদা আসতে থাকে জলস্রোতের মতো। বুধবার অর্থাৎ গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জমা হয় ৮১.১০ লক্ষ টাকা।
সবচেয়ে কম চাঁদা পড়েছে এক টাকা। সবচেয়ে বেশি ৫০ লক্ষ! দিল্লির জনৈকা সম্ভ্রান্ত মহিলা নাতাশা আম আদমি পার্টির তহবিলে ৫০ লক্ষ টাকা দান করেছেন। দিল্লি ছাড়াও মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে ভালো চাঁদা পেয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেউ দিয়েছেন ৫০ টাকা, কেউ ৫০০ টাকা, তো কেউ ১০ হাজার টাকা। শুধু দেশের অন্দরে নয়, তিনি অর্থ পেয়েছেন দেশের বাইরে থেকেও। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং কানাডা থেকে এসেছে প্রচুর অর্থ। দলের উত্তরপ্রদেশ শাখার মুখপাত্র সুধীর ভরদ্বাজ বলেছেন, "কেজরিওয়ালজির আবেদনের পাশাপাশি আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও আগ্রাসী প্রচার চালিয়েছি। মানুষ আমাদের কথায় বিশ্বাস করেছেন বলেই এত কম সময়ে এত বিপুল অর্থ পেয়েছি আমরা।"
বারাণসীতে বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর আমেঠিতে আম আদমি পার্টির প্রার্থী কুমার বিশ্বাস লড়ছেন রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। কেজরিওয়ালদের অভিযোগ, বিজেপি, কংগ্রেস ভোটের প্রচারে বিপুল টাকা খরচ করছে। তাদের অত অর্থ নেই। ফলে মানুষের কাছে টাকা চাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।
বারাণসীতে আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং জানালেন, অর্থসঙ্কটের কারণে পোস্টার, ব্যানার, দেওয়াল লিখন ইত্যাদির চেয়ে দরজায় ঘুরে ঘুরে তাঁরা প্রচার চালাচ্ছেন। কেজরিওয়ালের ভাষণ রেকর্ড করে নিয়ে তা মোবাইল ফোনে শোনানো হচ্ছে ভোটারদের। তাঁর মতে, ২৪ ঘণ্টায় ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি চাঁদা ওঠা উৎসাহব্যঞ্জক ঠিকই। কিন্তু ভোটের বিপুল খরচে তুলনায় তা কিছুই নয়।