ভেবেছিলাম, পদ ছাড়ায় মানুষ ধন্যধন্য করবে, অনুতাপ কেজরিওয়ালের
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসী থেকে প্রার্থী হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবার এখানকার বিখ্যাত তুলসীঘাটে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। পরে বলেন, "আমার মনে হয়, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। নীতিগতভাবে হয়তো সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল, কিন্তু বাস্তব অর্থে তা সময়োপযোগী ছিল না। দিল্লিতে সরকার গঠনের আগে আমরা মানুষের মতামত নিয়েছিলাম। একইভাবে পদত্যাগ করার আগে জনগণের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। আসলে বিজেপি ও কংগ্রেস একসঙ্গে আমাদের সরকারকে দিল্লিতে কাজ করতে দেয়নি। ফলে বিরক্ত হয়ে আমরা তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। ভেবেছিলাম, আমাদের এই সিদ্ধান্তকে মানুষ প্রশংসা করবে। বাস্তবে দেখলাম, কেউ আমাদের যুক্তিটা বুঝল না।"
প্রসঙ্গত, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আগমন উপলক্ষে বারাণসীতে চারদিকে পোস্টার পড়েছে, "দেখো, ভগোড়া আয়া হ্যায়" (দেখুন, পলাতক লোকটা এসেছে)।
এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, এই পোস্টার বিজেপি-ই লাগিয়েছে। উদ্দেশ্য, আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা মানুষের মনে গেঁথে দেওয়া। তবে এই চেষ্টা সফল হবে না বলে তিনি দাবি করেছেন।
এদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আগমন ঘিরে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় আম আদমি পার্টির সমর্থকরা। শুধু বারাণসী নয়, এখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কানপুর, এলাাহাবাদ থেকেও আসছে ভক্তরা। সব দেখেশুনে দারুণ খুশি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বারাণসীতে হেসেখেলে জিতবেন নরেন্দ্র মোদী। কারণ এখানকার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়াররা কেজরিওয়ালকে সমর্থন করলেও গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষের মন ভেজাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি যেমন সুনির্দিষ্টভাবে কৃষক, শ্রমিকদের জন্য পরিকল্পনার কথা শোনাচ্ছে, তেমনটা করতে পারছেন না কেজরিওয়ালরা। পরের দিন খাবার জুটবে কি না, এটাই বারাণসীর গরিব মানুষেদর চিন্তা। কোথায় কী দুর্নীতি হল, তা নিয়ে কেজরিওয়াল কী বললেন, আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের। আর এখানেই বাজিমাত করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।