কার্গিল স্পেশাল: 'ভয়ে দৌড়চ্ছিলাম, পাকিস্তানের গোলা এসে পড়ছিল'
সেই দিন স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল
জাকির। দ্রাসে একটি সাববার কাফে চালান এখন। ১৯৯৯ সালে যখন পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়, তখন বয়স ছিল ১৫ বছর। পড়তে ক্লাস এইটে। জাকির ওয়ান ইন্ডিয়াকে বললেন, "তখন দুপুর গড়িয়ে গিয়েছে। আমরা স্কুলে ছিলাম। কিছুক্ষণ আগে টিফিন করে ক্লাসে ঢুকেছি। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনলাম। কী হচ্ছে, বুঝতে পারিনি। আমাদের মাস্টারমশাই বললেন, নিশ্চয় দাঙ্গা লেগেছে। আমাদের বাড়ি চলে যেতে বলেন। পরে শুনলাম, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ লেগেছে। বাড়িতে এসেও রেহাই নেই। সারা রাত বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। ওটা ছিল দুঃস্বপ্নের রাত। ফৌজিরা এসে আমাদের পরে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।"
ভয় পেয়ে দৌড়চ্ছিলাম
টাইগার হিলের কাছে তালোলিং গ্রামে থাকেন গুলাম কাদির। যখন যুদ্ধ শুরু হয়, বয়স ছিল সাত বছর। ২২ বছর বয়সী গুলাম কাদির এখন আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। আজও চোখের সামনে ভাসে সেই দিনগুলো।
তিনি ওয়ান ইন্ডিয়াকে বলেন, "আমি ভয়ে দৌড়চ্ছিলাম রাস্তা দিয়ে। সেনা জওয়ানরা আমাকে থামিয়ে খুব বকেছিল। চারদিকে পাকিস্তানের ছোড়া গোলা এসে পড়ছিল। ওই অবস্থায় সত্যিই আমার দৌড়নো উচিত ছিল না। যখন বাড়ি ফিরে এসেছিলাম, মা আমার শুকনো মুখ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এখনও সেই দিনটার কথা মনে পড়তে রাতে ঘুমোতে পারি না।"
জাকির বা কাদির নয়, ১৯৯৯ সালের স্মৃতি তাড়া করে বেড়ায় এখানকার অনেক যুবককে। বিস্ফোরণের সেই শব্দ, সেনাদের ভারী বুটের আওয়াজ জীবনটাই যেন বদলে দিয়েছিল। তার পুনরাবৃত্তি হোক, চান না কেউই।