ঈদে সলমনের সিনেমা না দেখার উপদেশ মুসলিম ধর্মগুরুদের! সমস্যায় পড়তে পারে 'কিক'
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মান্যগণ্য এই মৌলবিরা অভিনেতা সলমন খানের নাম নিয়ে কিছু বলেননি। তাঁদের মন্তব্যের নির্যাস হল, পবিত্র ঈদের দিনে হলে সিনেমা দেখতে গেলে পরিবার সদস্যরা বাড়িতে একলা হয়ে যাবেন। সেই কারণে কোনও ছবি বা অভিনেতার নাম না করেই ঈদের দিনে হলে গিয়ে সিনেমা না দেখার অনুরোধ ভক্তদের জানালেন মৌলবিরা।
তবে এক্ষেত্রেও একটা ছোট বিষয় থেকেই যাচ্ছে। সলমনের নাম না নিলেও ভোপাল ও কানপুরের এই মৌলবিদের কথায়, "প্রত্যেক বছরই ওঁর ছবি ঈদে মুক্তি পায়।" এর পরেই ঈদে ছবি না দেখার অনুরোধ জানান তাঁরা। ঈদে সলমনের ছবির মুক্তি নতুন কথা নয়, আর সেই প্রসঙ্গতেই এই মন্তব্য মৌলবিদের।
এদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণে না গেলেও মৌলবিদের এই পরামর্শ সলমন খানের চলতি ছবি 'কিক'-এর বক্স অফিস ব্যবসায় সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত সপ্তাহেই অর্থাৎ রমজান মাসে মুক্তি পায় সলমনের 'কিক'। ইতিমধ্যে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসাও করে নিয়েছে এই ছবি।
মিডিয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুধু মৌখিক ভাবে নয়, ঈদে ছবি না দেখার জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস বা সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সাহায্যে প্রচার চালাতে শুরু করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুরা। যে সব এসএমএস ফোনে ফোনে পাঠানো হচ্ছে তাতে বলা হয়েছে, "ঈদের দিনে হলে গিয়ে ওঁর ছবি সিনেমা দেখ না, তাহলেই ঈদে নিজের ছবির মুক্তি বন্ধ করে দেবেন উনি।"
এর আগেও যখন, সলমনের 'জয় হো' ছবিটি মুক্তি পায়, তখনও মুসলিম ধর্মগুরুরা হুজ্জুতি করেছিলেন। ওই ছবিটি ১০০ কোটির গণ্ডি পার করলেও আশানুরূপ ব্য়বসা করতে পারেনি। তখন বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন মুসলিম ধর্মগুরুদের সলমন বিরোধি প্রচারের জন্যই সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি জয় হো।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৎকালীন গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সলমনকে দেখা গিয়েছিল। যা খুব একটা ভাল চোখে নেননি মুসলিম ধর্মগুরুরা। আর তারই জেরেই সলমন বিরোধী এই প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা।