ভোটরঙ্গ : ব্যঙ্গ বিজ্ঞাপনে জোর লড়াই 'ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে'
লোকসভা ভোটের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ চলছে আজ। ক্রমশ বাড়তে নির্বাচনের রাজনৈতিক উত্তাপ। তারই মাঝে টিন এজ প্রজন্মের এই কংগ্রেস-বিজেপি নিয়ে 'স্লোগান ফাইট' বিনোদনের রসদ যোগাচ্ছে ইন্টারনেটে।
যদিও রাজনৈতিক দলগুলির টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের ব্যাঙ্গাত্মক এই স্লোগানগুলি বিরোধী শিবিরের তরুণ প্রজন্মই উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠলেও, সে বিষয়ে স্বভাবতই সরাসরি কারোর স্বীকারোক্তি মিলছে না। যদিও কংগ্রেস বা বিজেপির বিজ্ঞাপনের এমন ব্যাঙ্গাত্মক 'ভার্সন' যে বিরোধী শিবিরেরই তা নিয়ে কানাকানি ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য বিজেপির আইটি সেলের জাতীয় আহ্বায়ক বিনীত গোয়েন্দা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, আমাদের বক্তব্য আমরা প্রদর্শন করতে চাই ইন্টারনেট ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। সোস্যাল মিডিয়ায় আমাদের সবধরণের প্রচারই অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে চলছে। আমরা কেন অন্য কোনও দলের ব্যাঙ্গাত্মক অনুকরণ করে নাম খারাপ করব? প্রশ্ন ছুঁড়লেন বিনীত।
'হর হাত শক্তি, হর হাত তরক্কি'বদলে করা হয়েছে 'হর হাত ললিপপ, হর হাত রেওয়াড়ি'
যদিও সংশ্লিষ্ট সেলের সদস্যদের একাংশের কথায়, কোনও দলের স্লোগানকে ব্যঙ্গ করা এবং সেই ব্যঙ্গের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য প্রচার করা অবশ্যই প্রচারেরই অঙ্গ। হাসির ছলে নিজের বক্তব্য পৌছে দিতে পারলে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হয়। কিন্তু তা যেন কখনও শালীনতা ও শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন না করে তা নজরে রাখতে হবে। এই 'ভার্চুয়াল ব্যঙ্গ যুদ্ধ'-এর বাজারে মূল নিশানা নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালই।
কংগ্রেসের একটি বিজ্ঞাপন রয়েছে যার স্লোগান 'হর হাত শক্তি, হর হাত তরক্কি'। তার বদলে স্লোগান করা হয়েছে 'হর হাত ললিপপ, হর হাত রেওয়াড়ি'। যা ইতিমধ্য়েই বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান, 'কুছ ভি না সোচনা, বাস লম্বি সম্বি ফেকনা,বাস আপনি রোটি সেঁকনা।' বিজেপির 'নই সোচ, নই উমীদ'-এর বদলে এখন 'না হি সোচ,না হি উমীদ'।
কিন্তু ওয়েব দুনিয়া কাঁপাচ্ছে কেজরিওয়ালের ব্যঙ্গ বিজ্ঞাপন। যেখানে অভিনেতা অলোক নাথ কেজরিওয়ালকে কী করে গরীব দেখতে লাগবে তার জন্য উপদেশ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, সোয়েটার, মাথায় মাফলার চৌকিদারের থেকে নাও, নেহরু পরিবারকে এক হাত নিতে নেহরু টুপি পরারও উপদেশ দিচ্ছেন সংস্কারি অলোক নাথ।