গরিবের ক'টা হাত-পা, কেমন ঘর, দেখে মজা পান শাহজাদা: নরেন্দ্র মোদী
ভিড় থিকথিকে জনসভায় প্রথম থেকেই নরেন্দ্র মোদী ছিলেন আক্রমণাত্মক। ভাষণের শুরু থেকেই কংগ্রেস তথা সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে থাকেন। বলেন, "ওরা (কংগ্রেস) আমাকে নিয়ে মজা করে। আমার শৈশব নিয়ে মজা করে। আমি চা বিক্রি করতাম, সেটা নিয়ে মজা করে। ছোটোবেলায় আমার দারিদ্র্যময় জীবন নিয়ে মজা করে। কান খুলে শুনে নিন, আমি চা বিক্রি করতাম, তাতে আমার লজ্জা নেই। কারণ আমি চা বিক্রি করে সৎ পথে রোজগার করেছি। আপনাদের মতো দেশ বিক্রি করিনি।"
এর পর নরেন্দ্র মোদীর সংযোজন, "শাহজাদা তো বড় পরিবারে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন। কখনও কখনও দেখি উনি গরিব দেখতে বেরোন। গরিবের ক'টা হাত-পা, কেমন দেখতে, ওদের ক্ষিদে পায় কি না, বাড়িঘরগুলো কেমন দেখতে, এ সব দেখে মজা পান। টিভিওয়ালাদের সঙ্গে রাখেন। কোনও গরিব মানুষের বাচ্চাকে কোলে তুলে নিয়ে ছবি তোলেন। ভোটের কথা ভেবে গরিবের ঘরে খাবারও খেতে হয়। বেচারা রাহুল গান্ধী! কত কষ্টই না হয়। এটাও এক ধরনের ট্যুরিজম।"
লোকসভা ভোট উপলক্ষে আয়োজিত এই জনসভা যখন করতালিতে ফেটে পড়ছে, তখন তিনি আরও বলেন চললেন, "আমি জানি গরিবের যন্ত্রণা। শীতকালে যখন গায়ে দেওয়ার কিছু পেতাম না, তখন সারা রাত কুঁকড়ে ঘরের এক কোণে শুয়ে থাকতে হত। প্রচণ্ড শীতে চা ঠান্ডা হয়ে যেত, তখন তা বিক্রি করতে গিয়ে লোকের গালাগালি হজম করেছি, চড়ও মেরেছে কেউ। সেই ঘা আজও আমার মনে দগদগে।"
উত্তরপ্রদেশের দুই যুযুধান শক্তি সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টিকেও বিঁধেছেন তিনি। বলেছেন, যখন যে ক্ষমতায় থাকে, তারা বিরোধীদের জব্দ করার ফিকির খোঁজে। এটা করতে গিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে কেউ ভাবে না। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে উত্তরপ্রদেশে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হবে বলে দাবি করেন তিনি।