চেন্নাইয়ের ভোটকেন্দ্র থেকে সবার প্রথমে ভোট দিলেন রজনীকান্ত
মধ্য চেন্নাইয়ের স্টেলা মারিস কলেজ ভোটকেন্দ্রটি হাই প্রোফাইল বটে। শুধু রজনীকান্ত নন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাও এই কেন্দ্রেরই ভোটার। এই কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী নামের তালিকায় একটি নাম দয়ানিধি মারানের।
সকাল সাতটাতে ফাঁকায় ফাঁকায় ভোট দেবেন বলে ভোট কেন্দ্রের সামনে গুটিকতক লোক তখন জড়ো হয়েছেন। সবে লাইন করে দাঁড়াবেন আর কি। এমন সময় তাঁরা দেখতে পেলেন রজনীকান্ত ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসছেন।
রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চললেও তামিলনাড়ুর প্রচার অভিযানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন রজনীকান্ত। রাজ্যের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা প্রচার চালানোর মাঝেই রজনীকান্তের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। কোনও দলকে খোলাখুলি সমর্থন না জানালেও সবার সঙ্গেই দেখাও করেন রজনী।
গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ে পা রেখেই জনসভার আগে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীও রজনীকান্তের সঙ্গে দেখা করেন। সমর্থনের আবেদন নিয়ে রজনীর সঙ্গে দেখা করলেও পরে অবশ্য সৌহার্দ্যপূর্ণ সাক্ষাৎ বলেই ব্যাখ্য়া করা বিজেপির তরফে।
রজনীকান্তও সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন না জানালেও 'ঘরোয়া চায়ের আমন্ত্রণে' ঘন্টা খানেক সময় কাটিয়েছিলেন। বিজেপি শিবিরের ধারণা, মোদী-রজনী এই সাক্ষাৎ দক্ষিণ ভারতের ব্যালট বাক্সে ছাপ ফেলবে।
১৯৯৬ সালে রজনীকান্তের একটি রাজনৈতিক মন্তব্য এখনও জনপ্রিয়। তা হল, জয়ললিতা আবারও মুখ্যমন্ত্রী হলে ভগবানও তামিলনাড়ুকে বাঁচাতে পারবে না। এবং তাঁর বলা এই কথা ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল ডিএমকে-টিএমসি জোটের সমর্থনে। যদিও পরে বিজেপি ও পিএমকে-রে রজনীর সমর্থন ভোটবাক্সে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারেনি।