বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি বাম আমলের চেয়েও খারাপ, অভিযোগ বিজেপির
বিজেপি-র বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত হয় সন্দেশখালির ধামাখালিতে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি, দু'পক্ষের মারামারিতে জখম হন অন্তত ২৬ জন। এর পরই এই ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে বিজেপি-র প্রতিনিধি দল রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বিজেপির প্রতিনিধি দলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলে সহসভাপতি মুক্তার আব্বাস নাকভি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা বাম আমলের চেয়েও খারাপ হয়েছে। শাসক দল যেভাবে সরকারি ক্ষমতাকে হাতিয়ার করে বিরোধী দলের উপর আক্রমণ চালাচ্ছেন এবং হেনস্থা করছে তা নিন্দনীয়। আমরা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসেছিলাম। এবিষয়ে যাবতীয় রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়া হবে।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রধান রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এবং কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। বিজেপির ৩০ জন কর্মী এই হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন।
এই দুই জায়গা পরিদর্শনের পর এই সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রর কাছে জমা দেয় বিজেপির এই প্রতিনিধি দল। এদিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন মুখতার আব্বাস নাকভি, মীনাক্ষি লেখি এবং সিদ্ধার্থনাথ সিং। এ ছাড়া, বাংলা থেকে দুই নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালি এবং বাবুল সুপ্রিয় দলটিতে ছিলেন। আর ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য ও রাহুল সিনহা।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে শাসক দলের হামলাবাজির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমায় বিজেপি ও সিপিএম যৌথভাবে ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হয়। এর আগের দিনই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সন্দেশখালি যান। বিজেপির এই প্রতিনিধি দল চলে আসতেই সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দল এলাকায় যায়। অভিযোগ পুলিশের সামনেই বিরোধী দলের উপর হামলা চালায় শাসক দল। বিরোধিদের পক্ষ থেকে ২৮ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।