শেষ রবিবার পুজোর বাজার পণ্ড বৃষ্টিতে
সামনের রবিবার চতুর্থী। সেই হিসাব ধরলে এটাই পুজোর আগের শেষ রবিবার। আকাশ ঠিক থাকলে সকাল থেকেই নিউ মার্কেট, ধর্মতলা, চাঁদনি চক ভিড়ে উপচে পড়ার কথা। কিন্তু তেমনটা হল কই! জলকাদা ভেঙে মানুষ যেমন কম এসেছেন, তেমনই দোকানদারদেরও মুখ ভার। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফুটপাথে যাঁরা পসরা সাজিয়ে বসেন তাঁদের। সব জিনিসই পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে। নিউ মার্কেটের ফুটপাথে দীর্ঘদিন চটি-জুতো-বেল্ট বিক্রি করেন মহম্মদ আসগর। হতাশ সুরে জবাব, "আজই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হবে ভেবেছিলাম। সবাই তো বড় দোকান থেকে জিনিস কিনতে পারে না। কিছুটা সস্তায় এখান থেকে জিনিস কেনে। কালকেও বৃষ্টি হয়েছে, আজকেও। অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।"
একই ছবি বিভিন্ন জেলা শহরেও। আবহাওয়া দফতরের দাবি, রাত থেকে দুর্যোগ কাটবে আস্তে আস্তে। আকাশ মেঘলা থাকলেও কমবে দুর্যোগের তীব্রতা। তবে সেটা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, অন্ধ্র-ওডিশা উপকূলে একটি গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রীভূত হয়েছে। তার জেরেই এই দুর্যোগ।
টানা বৃষ্টিতে শনিবার তাপমাত্রা এক ধাক্কায় নেমে যায় অনেকটা। শুক্রবার যেখানে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার তা কমে দাঁড়ায় ২৭.৯ ডিগ্রিতে। রবিবারও বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে।
মঙ্গলবার মহালয়া। তার পরই পুরোদস্তুর পুজোর আবহ শুরু হয়ে যাবে। এখন মণ্ডপে মণ্ডপে চূড়ান্ত কাজ চলছে। বৃষ্টিতে সবই পণ্ড হতে বসেছে। কুমোরটুলির শিল্পীরাও চিন্তিত। কারণ এমন স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থাকলে প্রতিমার রং শুকোবেই বা কী করে! একেই দফায় দফায় পরিবহণ ধর্মঘটের জেরে পুজোর বাজার করতে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তার ওপর বৃষ্টি যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া।