শালিমারের কর্মীদের বদলির সরকারি পরামর্শে ক্ষুব্ধ প্রসূন
কারখানা আধুনিকীকরণে টাকা নেই, এই যুক্তিতে কিছুদিন আগে শালিমার পেন্টস বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা বিরোধিতায় নামেন। তখন ম্যানেজমেন্টের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, কর্মহীন শ্রমিকদের সিকান্দ্রা, নাসিক অথবা সদ্য চালু হওয়া চেন্নাই ইউনিটে বদলি করা যেতে পারে। রাজ্য শ্রম দফতরও এই মতকে সমর্থন করে। কিন্তু হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করায় তা আলাদা মাত্রা পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শ্রমিকরা কারখানা খোলার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের দাবি ন্যায্য। ওঁদের কিছুতেই ভিন রাজ্যে পাঠানো চলবে না। আমি খবর নিয়ে দেখেছি, সিকান্দ্রা, নাসিক বা চেন্নাইতে কাজের পরিবেশ খুব খারাপ।" এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন আইএনটিটিইউসি-র কার্যনির্বাহী সভাপতি মাসুদ আলম খান ওরফে গুড্ডু। তিনি বলেন, "আমরা ইতিমধ্যে সিকান্দ্রা ও চেন্নাইতে লোক পাঠিয়েছিলাম পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। সিকান্দ্রার কর্মীরা আমাদের লোকেদের মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে। আর চেন্নাইতে থাকার ব্যবস্থা নেই। কলকাতার থেকে জিনিসের দাম অনেক বেশি। ওখানে তো না খেয়ে মরতে হবে। তাই কেউ যেতে রাজি নয়।"
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পূর্ব ভারতে তেমন কলকারখানা নেই। ফলে রঙের চাহিদা নেই। তাই ক্রমাগত বাড়তে থাকা খরচ সামলাতে পারছিল না কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। অবিলম্বে তা খোলার কোনও লক্ষণ নেই।