'প্রাণ বাঁচাতে' করিমপুরে ১২০০ সিপিএম কর্মী বিজেপি-তে, অধিকাংশই সংখ্যালঘু
পাকশি গ্রামটি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। ২০১১ সাল পর্যন্তও এখানে সিপিএমের প্রশ্নাতীত দাপট ছিল। কিন্তু তার পর রাজ্যে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এখানেও বদল হয়। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ভিত শক্ত করে। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটের পর শাসক দলের অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। একদা সিপিএম কর্মী তথা বর্তমানে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া জয়নাল শেখ, লিটন শেখ, রেজ্জাক মোল্লা, ইয়াসমিন বিবি, শরিফ মোল্লা, মহম্মদ আসগর প্রমুখ জানান, "আমরা জ্ঞান হয়ে থেকে ইস্তক সিপিএমের সমর্থক ছিলাম। ২০১১ সালের পরও লাল ঝান্ডা পুঁতেছি এলাকায়। তার পর থেকেই অত্যাচার শুরু হয়েছিল। এখন সেটা লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। আমাদের মাটির বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বাড়ির মেয়েদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করা হচ্ছে। থানায় গেলে দেখছি, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ওখানে বসে আছে। পুলিশ উল্টে আমাদের ছেলেদের ধরে কেস দিচ্ছে। কতদিন মার খাব? সিপিএম দলটা আছে কি না, সেটাই বুঝতে পারছি না। কিন্তু টিভি-তে দেখলাম, বিজেপি নেতারা ওঁদের কর্মী-সমর্থকদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন, ভরসা দিচ্ছেন। তাই আমরা বিজেপি-তে নাম লেখালাম।"
এই ১২০০ জনকে দলে সাদরে বরণ করে নেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। দলের জেলা সভাপতি কল্যাণ নন্দী, করিমপুর-১ নম্বর ব্লক সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহম্মদ মারফত আলি শেখ প্রমুখ নির্যাতিতদের ভরসা দেন। উচ্ছ্বসিত কল্যাণবাবু বলেন, "এতদিন প্রচার করা হত, আমরা নাকি সাম্প্রদায়িক। তা এতগুলো মুসলিম মানুষ তা হলে এলেন কেন আমাদের দলে? আমরা এঁদের সব রকমভাবে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করব।"
করিমপুরের সিপিএম বিধায়ক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, "পাকশিতে সিপিএম ছেড়ে কেউ বিজেপি-তে গিয়েছে, এটা আমার জানা নেই।"