শাসক দলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ৩০ নভেম্বর বিজেপির মহা সমাবেশ
গতকালই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে জনসভা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বোঝা গিয়েছে, এ রাজ্যে তাঁদের মূল দুশমন এখন বিজেপিই। বার্তা পড়ে এ বার কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তারা। আগামী ৩০ নভেম্বর এই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই বিজেপি জনসভা করবে। রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের থেকেও বেশি লোক আনা সম্ভব হবে।
২১ জুলাই 'শহিদ দিবস' হিসাবে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩০ নভেম্বর বিজেপি পালন করবে 'উত্থান দিবস' হিসাবে। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা জানান, ওখানে সভা করার অনুমতি চেয়ে লালবাজারে চিঠি পাঠাতে চলেছেন তাঁরা। পুলিশ অনুমতি দেবে বলে আশা। রাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ ছাড়াও ওই সমাবেশে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ থাকবেন। প্রসঙ্গত, গতবার বিজেপি 'উত্থান দিবস' পালন করেছিল রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে।
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর কংগ্রেস ও সিপিএম কোণঠাসা হয়ে পড়েছে রাজ্যে। দ্রুত উঠে আসছে বিজেপি। এর পিছনে রয়েছে মূলত নরেন্দ্র মোদীর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। সামনে ৮১টি পুরসভার ভোট রয়েছে। তার আগে বিজেপি যদি বিপুল জনসমাগম করে শক্তি দেখাতে পারে, তা হলে শাসক দল আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, বর্ধমান জেলার শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনল বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি দেবীপ্রসাদ মল্লিক বলেন, "আমাদের কর্মীরা লাগাতার আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশ অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক। আমরা কিন্তু চুপচাপ মার খাব না।" এই হুমকি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সিপিএম বা কংগ্রেস অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দলের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছে না। অথচ প্রত্যক্ষ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে বিজেপি।