ভাঙচুর, ধোলাইয়ের আশঙ্কা, যাত্রার ভরা মরশুমে ব্রাত্য তাপস পাল
নাকাশিপাড়ার চৌমুহা গ্রামে খুন-ধর্ষণের হুমকি দিয়ে বক্তৃতা করার পর সব মহলেই তিনি ধিক্কৃত হচ্ছেন। হাওয়া খারাপ বুঝে সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনেও তাঁকে যেতে নিষেধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ বার চিৎপুরের অপেরাগুলি একজোট হয়ে জানিয়ে দিল, গ্রাম বাংলায় যাত্রাপালায় তাঁরা আপাতত ডাকছেন না তাপস পালকে।
বাংলা দৈনিক 'বর্তমান' জানাচ্ছে, রথের মরশুমে গ্রাম বাংলায় যাত্রাপালা জমজমাট হয়ে ওঠে। তাই কয়েক দিন আগে থাকতেই চিৎপুরের অপেরাগুলি ঠিক করে ফেলে, কোন পালা কবে কোথায় হবে, কে কে অভিনয় করবেন ইত্যাদি। গতবারও তাপস পাল ডাক পেয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাঁর জনমোহিনী ক্ষমতা ছিল। কিন্তু এ বার ভুলেও কেউ তাপস পালের নাম মুখে আনছেন না। কারণ মিডিয়ার দৌলতে সারা দেশের পাশাপাশি গ্রাম বাংলায় তাঁর খেউড় সবাই শুনে ফেলেছে। ফলে মঞ্চে উঠলে তিনি মারধর খেতে পারেন বলে আশঙ্কা। নিদেনপক্ষে ভাঙচুর, চটি-জুতো উড়ে আসাও অস্বাভাবিক নয়। তাই যাত্রাপালায় ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্যান্যবার শাসক দলের গ্রাম্য মাতব্বররা নিজেদের এলাকায় যাত্রা হলে চাইতেন তাপস পালকে। এ বার তেমন আবদারও আসেনি।
চিৎপুরের একটি অপেরার মালিক কনক ভট্টাচার্য বলেছেন, "আমি যত দূর জানি, এখনও পর্যন্ত কেউ ডাকেনি তাপস পালকে। বড় বড় অপেরা ওঁকে নামাচ্ছে না। ছোটো অপেরাগুলোও ঝুঁকি নেবে বলে মনে হয় না। এতদিন ওঁর অভিনয় দেখতে মেয়েরা ভিড় করতেন দলে দলে। অথচ মেয়েদের সম্পর্কেই এত বড় নোংরা উক্তি উনি করে বসলেন।"