সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেবেন না মমতা!
গতকাল অর্থাৎ সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় একটি নির্বাচনী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তারাই প্রধানমন্ত্রী বেছে নেয়। আপনি ভোটেই জিতলেন না, নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন! শুনে রাখুন, আপনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেব না।" যদিও সাংবিধানিকভাবে সেটা কী করে সম্ভব, তা বোঝা যাচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা থেকে!
গত ২৭ এপ্রিল শ্রীরামপুরের জনসভায় মমতার আঁকা ছবি কেনা নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাতেই অ্যায়সা চটে যান তিনি যে, কখনও হুমকি, কখনও রকের ভাষায় নরেন্দ্র মোদীকে গালাগালি করতে শুরু করেন। তা ছাড়া, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে বলে ঘোষণা করায় আরও চটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, "একজন বাঙালির গায়ে হাত দিয়ে দেখুন একবার।" আশ্চর্যের ব্যাপার, নরেন্দ্র মোদী কিন্তু বাঙালি তাড়ানোর কথা বলেননি, বলেছিলেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তাড়ানোর কথা। কারণ, এরা পশ্চিমবঙ্গের তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ কেড়ে নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।
এখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পাশে দাঁড়ালেও ২০০৫ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে লোকসভায় হট্টগোল বাধিয়েছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, সিপিএম ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আলোচনা চেয়েছিলেন। অনুমতি না পাওয়ায় তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার চরণজিৎ সিং অটওয়ালকে লক্ষ্য করে কাগজ ও চাদর ছুড়েছিলেন। সে ব্যাপারে অবশ্য এখন উচ্চবাচ্য করছেন না তৃণমূল নেতারা। ফলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে এখন মেরুকরণ স্পষ্টতর হয়েছে।
(আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদীকে 'গুজরাতের কসাই' আখ্যা তৃণমূলের)