এশিয়ার সেরা ১০০: বাংলা থেকে জায়গা পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
কলকাতা, ২০ জুন: এশিয়া মহাদেশের সেরা ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় জায়গা করে নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া, পশ্চিমবঙ্গ থেকে জায়গা পেয়েছে শুধু আইআইটি খড়গপুর। রাজ্যের আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ এই তালিকায় ঠাঁই পায়নি। ভারত থেকে সব মিলিয়ে দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠাঁই পেয়েছে। ব্রিটেনের অভিজাত টাইমস হায়ার এডুকেশন এশিয়া ইউনিভার্সিটি সার্ভে-২০১৪ থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই সমীক্ষার অংশীদার হল টমসন রয়টার্স। [ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিটলারি কায়দায় পুলিশি হামলা, আলো নিভিয়ে শ্লীলতাহানি]
পরিকাঠামো, পড়াশুনোর মান, গবেষণার সুযোগ, আন্তর্জাতিক পরিচিতি ইত্যাদি ১৩টি বিষয় খতিয়ে দেখে স্থির হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মান। সেই হিসাবে ১০০টি নামের তালিকায় ৪৫ নম্বর জায়গাটি পেয়েছে আইআইটি খড়গপুর। তাদের প্রাপ্ত স্কোর হল ৩৩.৯ শতাংশ। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ৭৬তম স্থান। তাদের প্রাপ্ত নম্বর হল ২৭.৬ শতাংশ। এই স্থানে তাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে অবস্থান করছে আইআইটি মাদ্রাজ। [ তিলকে তাল করা হচ্ছে, যাদবপুরের নাম না করেই বললেন মমতা]
তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ দু'টি কারণে। প্রথমত, আইআইটি খড়গপুর কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত। রাজ্য প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার সেরা ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান করে নিল, এটা আনন্দের বিষয় বৈকি! দ্বিতীয়ত, আইআইটি খড়গপুরে মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়। অথচ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগও রয়েছে। সমীক্ষায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পাশাপাশি এই দু'টি বিভাগও খতিয়ে দেখা হয়েছে। [ পড়ুয়াদের ন্যায্য প্রতিবাদে গায়ে ফোসকা, 'নেশাখোরদের আন্দোলন' বলল তৃণমূল]
বাংলার সেরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রিপোর্টে বলল 'ন্যাক'
'কিস অফ লাভ' প্রতিবাদে শামিল যাদবপুর, প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা
কেন বারবার হ্যাক হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট! প্রশ্ন নানা মহলে
ভারত থেকে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়। ৪০.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে ৩২তম স্থান অধিকার করেছে তারা। ৫৫তম স্থান পেয়েছে আইআইটি কানপুর। তাদের প্রাপ্ত নম্বর হল ৩১.৯ শতাংশ। ৩০.১ শতাংশ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে ৫৯তম স্থান দখল করেছে যথাক্রমে আইআইটি দিল্লি এবং আইআইটি রুরকি। ৭৪তম স্থানে রয়েছে আইআইটি গুয়াহাটি। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ২৯.৯ শতাংশ। ৮০তম স্থানে আছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের প্রাপ্ত নম্বর হল ২৭.২ শতাংশ। ৯০তম স্থান পেয়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। তারা পেয়েছে ২৫.৩ শতাংশ নম্বর।
এই সমীক্ষায় সেরা অর্থাৎ প্রথম স্থানটি দখল করেছে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের প্রাপ্ত নম্বর হল ৭৬.৪ শতাংশ।