বাংলায় লোডশেডিং অতীত! মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পোস্টে সহমত নয় আমজনতা
তিনি লিখেছেন, "এই ঝলসানো গরমে দেশের অনেক অনেক জায়গা ভুগছে দীর্ঘ লোডশেডিংয়ে। কিন্তু বাংলায় 'লোডশেডিং' শব্দটা বিস্মৃত হয়ে গিয়েছে। আমাদের রাজ্যে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের দ্রুত উন্নতির ফলে বাংলার মানুষ ২৪x৭ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে, এমন জায়গায় পৌঁছেছে বাংলা। আমাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।"
<div id="fb-root"></div> <script>(function(d, s, id) { var js, fjs = d.getElementsByTagName(s)[0]; if (d.getElementById(id)) return; js = d.createElement(s); js.id = id; js.src = "//connect.facebook.net/en_GB/all.js#xfbml=1"; fjs.parentNode.insertBefore(js, fjs); }(document, 'script', 'facebook-jssdk'));</script> <div class="fb-post" data-href="https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/posts/707376635996347" data-width="466"><div class="fb-xfbml-parse-ignore"><a href="https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/posts/707376635996347">Post</a> by <a href="https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial">Mamata Banerjee</a>.</div></div>
মুখ্যমন্ত্রী এই পোস্টটি দেওয়ার পর সন্ধে পৌনে সাতটা পর্যন্ত ১৩১৭টি কমেন্ট পড়েছে। কেউ কেউ তাঁর এই মন্তব্যকে সমর্থন করলেও বিরোধিতার পাল্লাই ভারী। কোথায় কবে কতক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না, তার বর্ণনা দিয়েছেন অনেকে।
উজ্জ্বল পাত্র নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, "দিদি, মাঝে মাঝে এমন কেন দেন? অরিজিনালটা আলাদা। পরশু মানে ১১-০৬-১৪ তারিখে রাত ১০-১৫ থেকে ভোর ৪-১৫ পর্যন্ত লোডশেডিং ছিল টোটাল সিঙ্গুর ব্লকে। গতকালও সকাল, দুপুর, সন্ধে এবং রাত্রিতেও লোডশেডিং হয়েছে।" পারমিতা চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, "লোডশেডিং হয় না? ওয়েস্ট বেঙ্গলে? রোজ ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা আসানসোল ও দুর্গাপুর রিজিয়নে কারেন্ট থাকে না।" অঞ্জন ভট্টাচার্য লিখেছেন, "এই তো এখন লোডশেডিং চলছে শ্রীরামপুরে।" চিন্ময় চক্রবর্তী লিখেছেন, "আসানসোলে এসে দেখুন লোকশেডিং কাকে বলে!" সৌম্য রায় লিখেছেন, "বাতেলা মারার জায়গা পান না। বেলঘরিয়াতে ৯ তারিখে রাত ১১টায় কারেন্ট গিয়েছে, এসেছে পরের দিন সকাল আটটাতে। ১০ তারিখে সারা দিনে অ্যাট লিস্ট ৫ বার লোডশেডিং হয়েছে।" জয়ন্তকুমার দাশ বলেছেন, "গোয়ালপোখর ব্লকে পারলে এসে দেখুন। এখানে ইলেকট্রিসিটি থাকে কম যায় বেশি।" অতিমিত কুণ্ডু ইংরেজিতে যেটা লিখেছেন, তার তর্জমা এই রকম: "আমি আপনাকে অনুরোধ করব উত্তরপাড়া মাখলা এলাকার দিকে তাকাতে। মনে হয় এটা বাংলার অংশ! আমরা তীব্র বিদ্যুৎ সঙ্কটে ভুগছি।"
কেউ কেউ আবার লিখেছেন, বাংলায় শিল্প নেই। তাই বিদ্য়ুতের চাহিদা নেই। ফলে কিছু কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় লোডশেডিং কমেছে। এটা রাজ্য সরকারের কোনও কৃতিত্ব নয়।