সিপিএম জোট প্রস্তাব দিলে ভেবে দেখব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
'তৃণমূল-সিপিএম জোট'...এ যে বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য। হঠাৎ এমন পথ বদলের কারণ? কারণ একটাই আর তা হল বিজেপি। বিজেপিকে আটকাতে যেমন উপনির্বাচনের আগে চরম শত্রু নীতিশ কুমার এবং লালু প্রসাদ যাদব হাত মিলিয়েছিলেন। এবং তার সুফলও হাতে নাতে পেয়েছেন তারা। এসব দেখে, বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে এবার বামেদের প্রতি সুর নরম করে জোটের পথ খোলা রাখতে চাইছেন তৃণমূলনেত্রী।
বাংলায় বিজেপির হঠাৎ করে উঠে আসা এবং ক্রমেই বাড়বাড়ন্ত মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। হাতে এখনও বেশ অনেকটা সময় আছে। এখনই বিজেপিকে না আটকাতে পারলে যে বিধানসভা নির্বাচনে কোনও অঘটন ঘটতে পারে সে চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর মাথাতেও। মমতার দাবি, বিজেপি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরি করছে। যে কোনও মূহুর্তে রাজ্যে দাঙ্গার আবহ তৈরি হতে পারে।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিকে আটকাতে যদি সিপিএমের তরফে আমাদের কাছে জোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাহলে সে বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। একইসঙ্গে তিনি এবিষয়টিও স্পষ্ট করে দেন, যে তৃণমূল সিপিএমের কাছে জোটের ডাক দিচ্ছে না। শুধু যদি জোট প্রস্তাব আসে তাহলে রাজ্যের স্বার্থে তা ভেবে দেখা যেতে পারে।
যদিও মমতার এই প্রস্তাবকে ঘিরে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, "চাপে পড়ে এখন জোটের পথ খোলা রাখতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির জনপ্রিয়তায় যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী তা আরও একবার নিজেই স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।"
অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিমও মমতার এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, "নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করুক মুখ্যমন্ত্রী। তারপর জোটভাবনা।"