পুকুরের পমফ্রেট বাজারে আসছে পুজোতে, পরে পাবদাও
বাঙালিকে মাছে-ভাতে রাখতে রাজ্য সরকার পুকুরে পমফ্রেট মাছ চাষ করা শুরু করেছিল। সেই উদ্যোগ সফল হওয়ায় পুজোর সময়ই বাজারে আসছে এই মাছ। এখানেই শেষ নয়। পমফ্রেট চাষ সফল হওয়ার পর পুকুরে পাবদা মাছের চাষও শুরু করেছে মৎস্য উন্নয়ন পর্ষদ।
পমফ্রেট হল সামুদ্রিক মাছ। কিন্তু বাঙালির পাতে তুলনায় সস্তা দরে পমফ্রেট তুলে দিতে ২০০৮ সালে একটি পরিকল্পনা নেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পূর্ব মেদিনীপুরের আলমপুরে পুকুরে শুরু হয় এই মাছ চাষের চেষ্টা। প্রাথমিক বাধাবিপত্তি কাটিয়ে উঠে ২০১১ সালে মৎস্য দফতরের বিজ্ঞানীরা এর ডিম ফোটাতে সক্ষম হন। তার পর থেকে চেষ্টা শুরু হয় বাণিজ্যিকভাবে চাষের চেষ্টা। ডিম থেকে ফোটা পোনা আট মাসে সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো গ্রাম ওজনের হয়ে উঠছে। মৎস্য দফতর জানিয়েছে, পুকুরের পমফ্রেট মাছ স্বাদে বরং টেক্কা দেবে সামুদ্রিক পমফ্রেটকে! দুর্গা পুজোর সময়ই কলকাতা ও শহরতলির বাজারে এই মাছ পাঠানো যাবে বলে দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পমফ্রেট চাষে সাফল্য মেলার পর এখন শুরু হয়েছে পাবদার চাষ। দীঘায় কয়েকটি পুকুরে এই চাষ শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে পুকুরে সরকারিভাবে পাবদা মাছের চাষ শুরু হয়েছে এক মাস আগে থেকে। এখন ওই মাছগুলি ১৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে উঠেছে। পমফ্রেটের মতো পুকুরের পাবদাও স্বাদে অতুলনীয় হবে বলে দাবি করেছে মৎস্য দফতর।