শ্যামল সেন কমিশনের চেক বাউন্স, প্রতিবাদে রেল অবরোধ প্রতারিতদের
এদিন সকাল সাতটা থেকেই হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার বেশ কিছু স্টেশনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন লগ্নিসংস্থা কাণ্ডে প্রতারিতদের সংস্থা চিটফান্ড সাফারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের অভিযোগ, অনেকদিন হয়ে গেলেও শ্যামল সেন কমিশনের কাজের কোনও গতি আসেনি। ফলে তাঁরা যেই তিমিরে ছিলেন সেখানেই আছেন। বারবার রাজ্য সরকারকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় সরকাররে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই পখ অবলম্বন করেছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, শ্যামল সেন কমিশন এখনও পর্যন্ত লগ্নিসংস্থা কাণ্ডে প্রতারিতদের মাত্র ৫ শতাংশকেই চেক দিয়েছেন। বাকি ৯৫ শতাংশকে চেক দেওয়া তো দূরস্ত, এখনও তাদের টাকা ফেরতের সম্পর্কে কোনও আশ্বাসই দেয়নি কমিশন। অথচ যে ৫ শতাংশ চেক দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ২৫ শতাংশই বাউন্স করেছে।
আন্দোলনকারীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে,পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন
এদিন মূলত নরেন্দ্রপুর ও গড়িয়াতে রেল রোকো আন্দোলন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের রেল অবরোধের জেরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বজবজ ছাড়া সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ। পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা মিলছে না। এদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী. এদিন সকাল শিয়ালদহ উত্তর ও শিয়ালদহ মেন শাখায়ও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু জিআরপিএফের তৎপরতায় মিনিট দশেকের মধ্যেই উঠে যায় অবরোধ। তবে দক্ষিণ শাখায় এখনও অবরোধ চলছে। হাওড়ার দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় রেল চলাচল ব্যাহত।
সকাল সাতটা থেকে গড়িয়া স্টেশনে আন্দোলনে বসেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয় তৃণমূলের একদল ছেলে এসে আন্দোলনকারীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পুলিশের হাতের লাঠি ছিনিয়ে নিয়ে ওই লাঠি দিয়ে তৃণমূলের লোকজন আন্দোলনকারীদের মারধর করলেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকাতেই ছিল।
এদিকে এই অবরোধের জেরে বিপারে নিত্যযাত্রীরা। কেউ কেউ ট্রেন ধরতে এসে দেখেন অবরোধ। কেউ আবার মাঝপথেই ট্রেনে আটকে পড়েন। শুধু লোকাল ট্রেনই নয়, আটকে রয়েছে বহু দূরপাল্লার ট্রেনও। অবস্থা স্বাভাবিক হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।