১০০ টাকার আদলে রসিদ, হুগলীতে বিতর্কে জড়াল সিপিএম
দেখা যাচ্ছে, অশোক স্তম্ভ যেখানে থাকে, সেখানে সংসদ ভবনের ছবি। আর যেখানে মহাত্মা গান্ধীর ছবি থাকে, সেখানে সিপিএমের প্রতীক কাস্তে-হাতুড়ি-তারা। '১০০' সংখ্যার ওপরে যেখানে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কথাটি লেখা থাকে, সেখানে লেখা রয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)।
এখানেই শেষ নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের জায়গায় রয়েছে সিপিএমের হুগলী জেলা সম্পাদকের স্বাক্ষর। জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী স্বাক্ষর করেছেন সেখানে।
এদিকে, সিপিএমের এই পদক্ষেপ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, প্রতিলিপি হলেও তা এইভাবে ছাপানোর অধিকার নেই সিপিএমের। অথচ ওরা সেটাই করেছে। গান্ধীজির ছবির পরিবর্তে কাস্তে-হাতুড়ি-তারা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অপমান করা হয়েছে জাতির জনককে। এমনকী, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পরিবর্তে সেখানে সুদর্শন রায়চৌধুরীর স্বাক্ষর ছাপানো হয়েছে কী যুক্তিতে, তা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বিষয়টি জানিয়েছে বলে খবর। তৃণমূল নেতৃত্বের আশা, শীর্ষ ব্যাঙ্ক আইন মেনে ব্যবস্থা নেবে সিপিএমের বিরুদ্ধে। সেই আশাতেই এখন রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এ ব্যাপারে সিপিএমকে সহজে ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। বৈদ্যবাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অজয়প্রতাপ সিং এবং হুগলী জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভজিৎ সাউ লিখিতভাবে নালিশ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।
কী বলছে সিপিএম? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিপিএমের হুগলী জেলা কমিটির সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেছেন, এতে কোনওভাবে দেশকে অবমাননা করা হয়নি। এটা নিছক একটা প্রতিলিপি মাত্র। একটু অদলবদল করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে তো অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সুদর্শনবাবুর জবাব, "যদি আমাদের কাছে নির্বাচন কমিশন জবাব চায়, আমরা তাদের জবাব দেব।"