রাত পোহালেই ভোট রাজ্যের ছয় আসনে, নিরাপত্তা জোরদার
১৭ এপ্রিল প্রথম দফায় রাজ্যের চারটি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। এগুলি হল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং। প্রথম দফার ভোটে হিংসা ছড়িয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে হুমকি, বিরোধী প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। ফলে দ্বিতীয় দফায় ছ'টি আসনে নির্বিঘ্নে ভোট করানো একটা চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে।
যে ছ'টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার পাঁচটিই হল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। শুধু বালুরঘাট ছাড়া বাকি আসনগুলিতে ২০০৯ সালে জিতেছিল কংগ্রেস। বালুরঘাটে জেতে আরএসপি। এবার তাই মাটি কামড়ে লড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বালুরঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছে নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষকে। আর মালদহ উত্তরে আর এক সেলিব্রিটি প্রার্থী। 'ভূমি' ব্যান্ডের সৌমিত্র রায়। এই দু'টি আসন এবার তারা ছিনিয়ে নেবে বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস। রায়গঞ্জেও দীপা দাশমুন্সিকে হারানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এখানে তিনি দাঁড় করিয়েছেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ভাই সত্যরঞ্জন দাশমুন্সিকে। ফলে রায়গঞ্জে লড়াইটা দাঁড়িয়েছে দাশমুন্সি বনাম দাশমুন্সি।
এছাড়াও জঙ্গিপুর আসনে সবার নজর থাকবে। কারণ এখান থেকে গতবার জিতেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ায় এই আসনে কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছে তাঁর পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এখান থেকে গতবার প্রণববাবুকে জিতিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী, তাঁর সাংগঠনিক শক্তির জোরে। সেই ফর্মুলা এবার কতটা কাজে লাগে বা অধীর চৌধুরী কতটা সক্রিয় হন, সেটাও দেখতে হবে।
এদিকে, এই এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করছে না বলে মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বামফ্রন্ট। কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে দেরি হওয়ায় এই সঙ্কট। আশ্বাস দেওয়া হয়, সন্ধে থেকেই শুরু হয়ে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ।
কংগ্রেস, বামেদের তরফে আরও অভিযোগ ওঠে, বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না, কারণ তারা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের তরফে বলা হয়েছে, হার নিশ্চিত জেনে এ সব বলছে কংগ্রেস ও বামেরা। তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।