অর্থবর্ষের শুরুতেই ফের ১৮০০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে রাজ্য
২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২১,৫৫৬.৪২ কোটি টাকা ঋণ করেছিল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ঋণ না করলে রাজ্য সরকারই মুখ থুবড়ে পড়বে। ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বামফ্রন্ট সরকার ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা রেখে গিয়েছে। তার সুদ গুনতে গুনতেই সব অর্থ শেষ হয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আর কিছু থাকছে না। বাস্তব হল, এই ঋণ বামফ্রন্ট আমলে হয়নি। বিধানচন্দ্র রায়ের সময় থেকে রাজ্য সরকার যে ঋণ নিয়েছে, তা ক্রমশ পুঞ্জীভূত হতে হতে এ জায়গায় পৌঁছেছে। ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। ফলে মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা। পরিবহণ কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। অথচ উৎসব করতে, পাড়ার ক্লাবগুলিকে অনুদান দিতে টাকা কম পড়ছে না!
কোন রাজ্য খোলা বাজার থেকে কত কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে, তা এফআরবিএম (ফিসক্যাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট) নিয়মানুযায়ী ঠিক হয়। এই নিয়ম অনুসারে খোলা বাজার থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। ১৮০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পর বাকি অর্থবর্ষে আর ২৩২০০ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেছিলেন, আগামী অর্থবর্ষের শেষে অর্থাৎ ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় চার বছরের শাসনকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৮৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা রাজ্যবাসীর ওপর চাপাতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দেশের আরও ১১টি রাজ্য মোট ৮৪১৬ কোটি টাকা ঋণ নেবে। সবচেয়ে কম ঋণ নিচ্ছে মিজোরাম। ২০ কোটি টাকা।