'আর কী চান, মেরে ফেলব ওঁকে?' তাপস পালের শাস্তি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে চোখ রাঙানি মমতার
এই গণমাধ্যই সোমবারদিন প্রথম বিপাকে ফেলে। বাংলা এক টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে বিরোধীদের কদর্য ভাষায় আক্রমণ ও হুমকি দিতে দেখা যায় তাপল পালকে। তিনি বলেন, "বিরোধীদের বলছি...আমি অনেক বড় রংবাজ, আমি প্রচুর মাস্তানি করেছি। আমি পকেটে মাল নিয়ে ঘুরি, ...আমি নিজে রিভলবার দিয়ে গুলি করে চলে যাব। আমার মা, বোন, বাবা, বাচ্চা কারোর গায়ে যদি হাত পরে আমি ছেড়ে কথা বলব না। আমাদের ছেলেদের ঘরে ঢুকিয়ে দেব রেপ করে চলে যাবে। আমাদের তৃণমূলের কারও গায়ে যদি সিপিএম হাত দেয় তাদের গুষ্টি শেষ করে দেব। বাড়ি, ঘর সব জ্বালিয়ে দেব।"
এরপরই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি, বিষয়টি গড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও। এরপরই নড়চড়ে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও মুকুল রায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় মর্মাহত ও হতবাক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাপস পালকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। তাছাড়া অভিযুক্ত সাংসদকে শো কজ করা হয়েছে. ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চিঠির উত্তর দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ও ভুল করেছে, দল ওঁকে সাবধান করেছে, আর কী করতে পারি আমি: মুখ্যমন্ত্রী
এরপর অবশ্য দলের ক্ষুণ্ণ হওয়া ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করতে তিনি বলেন, এই ঘটনা সামনে আসার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে দল পদক্ষেপ নিয়েছে যা জাতীয় রাজনীতিতে নজিরবিহীন।
এই বিষয়ে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রথমে এবিশয়ে মন্তব্য করতে চাননি।"যা বলার মুকুল বলে দিয়েছে" বলেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান তিনি। তিনি বিষয়টি পরিস্কার করে জানিয়ে দেন, সাংসদের কাছ থেকে নিঃশর্ত ও প্রকাশ্য ক্ষমাপ্রার্থনা চান। কিন্তু তাঁর এমন নিম্নমানের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থণাই কী যথেষ্ট, দল অন্য কোনও কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবছে না? সাংবাদিকদের মুহূর্মূহূ প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারিয়ে তৃণমূল নেত্রীর জবাব, "ও একটা সাংঘাতিক ভুল করে ফেলেছে। দল ওকে সাবধান করে দিয়েছে। আপনারা আর কি চান? মেরে ফেলব নাকি লোকটাকে?" (আরও পড়ুন : দাদার কীর্তিতে দিদিনামা)
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিঠিতে তাপস পাল লিখেছেন, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আমি মেজাজ হারিয়ে কিছু কথা বলে ফেলেছি, যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, অনেকে আঘাত পেয়েছেন। আমি নিঃশর্তভাবে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থা করছি। যে কোনওধরণের উস্কানি দেওয়া বা উস্কানি দেওয়ার চেষ্টার মতো পরিস্থিতিতেও ওই ধরণের মন্তব্য করা আমার একেবারেই উচিত হয়নি। এই ভুলের জন্য আমার কাছে সাফাই দেওয়ার কিছুই নেই।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের প্রশ্রয় নিয়ে। আরাবুল ইসলাম, অনুব্রত মণ্ডল, মণিরুল ইসলামের মতো নেতাদের মতো তাপস পালের বিরুদ্ধেও কোনও চরম পদক্ষেপ নেবে না দল। প্রশাসনই বা কেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করছেন না শাসক দলের সাংসদের বিরুদ্ধে সে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। রাজনৈতির পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা বারবার কটু কথা বলে পার পেয়ে যাওয়ায় সাহস ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। এই পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। এভাবে চললে তৃণমূল নিয়ন্ত্রেণের বাইরে চলে যাবে, তখন হাত কামড়াতে হবে এই সব "ভাইদের" দিদিকেই।
এত বড় অভিযোগের পরও শুধু এই ক্ষমা চাওয়ার নাটকে সন্তুষ্ট নয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কংগ্রেসের তরফে অভিযুক্ত সাংসদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে, বামেরা অবশ্য চাইছেন কমপক্ষে দল থেকে কমপক্ষে সাসপেন্ড করা হোক তাপস পালকে।
এদিকে বুধবার তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী শমিত সান্যাল। রাজ্যপুলিশ যাতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাপস পালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে যথাযথ পদক্ষেপ নেন তার জন্য এই মামলা। একইসঙ্গে ক্ষমা চেয়ে যে চিঠি লিখেছেন তাপস পাল তাতে তিনি বলেছেন নির্বাচনের প্রচারের উত্তেজনায় কিছু মন্তব্য করেছেন। অথচ ঘটনাটি ১৪ জুন ঘটেছে। ফলে নির্বাচনের সঙ্গে কোনও যোগায়োগ নেই এই ঘটনার। মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্যও নির্বাচন কমিশন যাতে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় তার আবেদনও জানোন হয়েছে মামলায়।
তাপসের
আর
এক
কীর্তি
সিপিএমকে
খুন
ও
ধর্ষণের
হুমকি
দেওয়া
তাপস
পালের
যে
ভিডিওটি
নিয়ে
উত্তেজনা
ছড়িয়েছে
মঙ্গলবার
সাংসদের
নিঃশর্ত
ক্ষমা
চাওয়ার
ঘন্টা
খানেকের
মধ্যে
তাঁর
একইধরণের
আর
এক
কীর্তিকাহিনি
ফাঁস
হয়েছে
অন্য
আর
এক
ভিডিওতে।
সেই
ভিডিওয়
তাপস
পালকে
বলতে
শোনা
গিয়েছে,
''যারা
খুন
করে
তারা
মানুষ
না...
আমি
যতক্ষণ
আপনাদের
সঙ্গে
আছি
একটা
সিপিএম
কর্মীকেও
ছাড়বেন
না।
আমি
আমার
ছেলেদের
বলছি।
মহিলাদের
বলছি,
বঁটি
জানেন
তো,
বঁটি
দিয়ে
ওদের
গলা
কেটে
দিন।"
<center><div id="vnVideoPlayerContent"></div><script>var ven_video_key="NTU5NzYyfHwxMDExfHx8fHx8MTN8fA==";var ven_width="100%";var ven_height="325";</script><script type="text/javascript" src="http://ventunotech.com/plugins/cntplayer/ventuno_player.js"></script></center>