তাপস পালের ফুটেজ কে দিল মিডিয়াকে, গরুখোঁজা খুঁজছে পুলিশ
তাপস পালের প্ররোচনামূলক ভাষণ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি। তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। অথচ কে সেই ফুটেজ মিডিয়ার হাতে তুলে দিল, এখন তা গরুখোঁজা করে খুঁজতে শুরু করেছে প্রশাসন। অর্থাৎ যাঁকে চিহ্নিত করা হবে, তাঁর কী পরিণতি করবে পুলিশ বা শাসক দল, তা ভেবে এখন চড়ছে আতঙ্কের পারদ।
বিশ্বস্ত সূত্র উদ্ধৃত করে বাংলা টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে প্রশাসন দায়িত্ব দিয়েছে নাকাশিপাড়া থানার এক সাব-ইন্সপেক্টরকে। তিনি গ্রামে গিয়ে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি, কাজে লাগানো হচ্ছে সিভিক পুলিশকে। গ্রামের ছেলেরাই যেহেতু সিভিক পুলিশে চাকরি করে, তাই স্থানীয় যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ধরতে পারবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও
পড়ুন:
ছেলেদের
ঘরে
ঢুকিয়ে
দেব,
সিপিএম
মহিলাদের
ধর্ষণ
করে
চলে
যাবে:
তাপস
পাল
আরও
পড়ুন:
তাপস
পালের
প্ররোচনার
পর
হিংসা
ছড়াল
নদীয়ার
গ্রামে
প্রসঙ্গত, ১৪ জুন তাপস পাল তিনটি জায়গায় কুরুচিকর ভাষায় প্ররোচনামূলক ভাষণ দেন। নাকাশিপাড়ার চৌমুহা ও তেঘড়ি গ্রাম এবং তেহট্টের গোপীনাথপুরে। চৌমুহা গ্রামে ভাষণের ফুটেজই সবচেয়ে অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এখানে তিনি বলেছিলেন, "ছেলে পাঠিয়ে বিরোধী দলের লোকজনের বাড়ির মেয়েদের রেপ করিয়ে দেব। গুষ্টি জ্বালিয়ে দেব। গুলি করে মারব।" সেটা কেউ মোবাইলে তুলে রেখেছিলেন। পরে মিডিয়ার হাতে পৌঁছয়। সেই 'চক্রান্তকারী' ব্যক্তিকেই এ বার পাগলের মতো খুঁজছে পুলিশ। চৌমুহা গ্রামের ছেলে-বুড়োরা এখন আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকেরই মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। যাঁরা এলাকায় সিপিএম, কংগ্রেস সমর্থক বলে পরিচিত, তাঁদের জীবন এখন জেরায় জেরায় জেরবার। কখনও পুলিশ জেরা করছে, কখনও সিভিক পুলিশ, কখনও আবার শাসক দলের মস্তানরা।
সিপিএম নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এমন ঘটনা ঘটবে, সেই আশঙ্কা আমরা করছিলাম। এ বার বেছে বেছে লোকজনকে মিথ্যা মামলায় জড়াবে পুলিশ। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য, এমনকী জাতীয় স্তরেও অস্বস্তিতে পড়েছেন। পুরো রাগটা গিয়ে পড়বে নিরীহ গরিব মানুষগুলোর ওপর।"