কুকুরের সঙ্গে মারামারি হলেও আমাকে ফোন করেন কেন: শতাব্দী রায়
কেন? সম্প্রতি একটি জনসভায় এসেছিলেন তিনি। সিউরির পুরন্দরপুরে। মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, "আচ্ছা ঝামেলায় পড়েছি। পাড়ার ট্রান্সফর্মার পুড়ে গেলে আমাকে ফোন করছেন আপনারা, কুকুরের সঙ্গে মারামারি হলে ফোন, বাড়ি থেকে বউ পালালেও ফোন! আমার কি আর কোনও কাজ নেই। পঞ্চায়েত আছে, কাউন্সিলর আছে, বিধায়ক আছে। তার পর তো সাংসদ। এমপি-র নম্বর পেয়েছি তাই বেশি করে ফোন করব? এ কেমন কথা?"
শতাব্দী রায়ের এমন কথা বেজায় উভয় সঙ্কটে পড়েছেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। কারণ ভোটের আগে তিনি নিজেই অকাতরে বিলিয়েছিলেন মোবাইল নম্বর। বলেছিলেন, কোনও দরকার হলেই সাধারণ মানুষ যেন সোজা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এতটা 'বাড়াবাড়ি' করা উচিত হয়নি বলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একাংশের মত। আবার সাধারণ মানুষকেও বলতে পারছেন না, তোমরা ফোন কোর না! তা হলে উল্টো প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শতাব্দী রায়ের এমন মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম বলেন, "মানুষ ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা তো তাঁকেই দেখতে হবে। মানুষ যদি নীচুতলায় কাজ না পান, তা হলে কার কাছে যাবেন?" রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেছেন, "এ ধরনের অরাজনীতিক ব্যক্তিদের চেহারা ভোটের আগে এক রকম থাকে। আর ভোটে পরে ভোল বদলে যায়।" আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, "উনি ভুলে যাচ্ছেন, যাঁরা ওঁকে ফোন করছেন, তাঁরাই ওকে সাংসদ করে পাঠিয়েছেন।"