বাংলা সিরিয়ালের শিল্পীদের বকেয়া টাকা পাওনা ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসে উঠল টলি পাড়া! বিস্ফোরক আর্টিস্ট ফোরাম
কয়েক মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি জগতের একটা বড়সড় বিপদ কেটে গিয়েছিল।
কয়েক মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি জগতের একটা বড়সড় বিপদ কেটে গিয়েছিল। ধর্মঘটে থাকা বাংলা সিরিয়াল ইন্ডাস্ট্রির কলাকুশলীদের বকেয়া টাকার সমস্যা মিটিয়ে পের একবার কাজ চালু করতে বলে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মাঝের সময়টায় বকেয়া পাওনা ঘিরে কলাকুশলীদের সমস্যা হলেও , তা নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি আর্টিস্ট ফোরামকে। তবে এবার আর চুপ থাকতে পারলেন না প্রসেনজিৎ , অরিন্দমরা।
এদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ফোরামের তরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়রা জানিয়ে দেন, ফোরমের ১৮০ শিল্পী এখনও প্রযোজকদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা পান। অন্যদিকে টেকনিশিয়ানদের টাকা মিলিয়ে মোট ৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে তা দেওয়া হচ্ছে না বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে। আর টাকা পাওার রাস্তাগুলো 'সুন্দর প্ল্যান' করে আটকে দেওয়া হয়েছে, বলে দাবি করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ফোরমের তারফে অভিযোগ,প্রযোজকরা কখনও দোষ চাপাচ্ছেন চ্যানেলের ঘাড়ে, আবার কখনও চ্যানেল দোষ দিচ্ছে প্রযোজকদের। আর এর মাঝে পড়ে টাকা পাচ্ছেন না, কলাকুশলী থেকে টেকনিশিয়ান অনেকেই।
বিশেষত দাগ সি মিডিয়ার প্রযোজনায় আর কোনও কলাকুশলী কাজ করবেন না বলে জানানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এবার নির্বাচনের পর ফোরাম বড়সড় আন্দোলনের পথে নামবার কথা ভাবছে বলেও জানান প্রসেনজির চট্টোপাধ্যায়। ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসাবে প্রসেনজিৎ এদিন সাফ জানান, শিল্পীদের কার্যত এখন প্রযোজকদের কাছে নিজের ন্যায্য পাওনার জন্য ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে। আর্টিস্ট ফোরাম তা আর মেনে নেবে না। সমস্যা দ্রুত না কাটলে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ফোরাম।
দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া'র বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আর্টিস্ট ফোরামের। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই প্রযোজনা সংস্থার প্রযোজিত সিরিয়াল-- 'জয় বাবা লোকনাথ', 'আমি সিরাজের বেগম', 'খনার বচন', 'মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য', 'প্রথম প্রতিশ্রুতি'। সিরিয়ালের কলাকুশলীদের পারিশ্রমিকের বিশাল অঙ্কের টাকা বাকি রয়েছে। শিল্পী ও টেকনিকিশিয়ানদে বকেয়া টাকার পরিমান ৫ কোটিরও বেশি, যারমধ্যে শুধু শিল্পীদেরই বকেয়া প্রায় দেড় কোটি। অভিযোগ, টিডিএসও জমা দেওয়া হয়নি। টেলিপাড়ার এহেন দশায় ক্ষুব্ধ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়! জানালেন, ''আমি এরকম অবস্থা ইন্ডাস্ট্রিতে কখনও দেখিনি। দরকারে বড় পদক্ষেপ করা হবে।''