কালীরূপে পূজিতা হন জগদ্ধাত্রী! কলকাতার ৩০০ বছরের পুরনো এই পুজোয় থাকে আমিষ ভোগ
জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে চন্দননগর থেকে নদিয়া সেজে উঠছে চিরাচরিত পরম্পরা মেনে। কোথাও হেমন্তিকার আরাধনায় আলোর রোশনাইয়ের আয়োজন,তো কোথাও রাজ বেশে সেজে উঠছেন মা।
জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে চন্দননগর থেকে নদিয়া সেজে উঠছে চিরাচরিত পরম্পরা মেনে। কোথাও হেমন্তিকার আরাধনায় আলোর রোশনাইয়ের আয়োজন,তো কোথাও রাজ বেশে সেজে উঠছেন মা। তবে শহর কলকাতার বুকেই ঐতিহ্য মেনে ৩০০ বছর ধরে হয়ে আসছে জগদ্ধাত্রীর আরাধনা।
পুজোর ঠিকানা
কলেজ স্ট্রিটের দয়াময়ী ভবনের পুজোর দায়িত্বে থাকে একাধিক পালাদার। বন্দ্যোপধ্যায়, ঘোষাল সহ একাধিক পরিবারের সদস্যরা প্রতিবছর পালা করে, যাবতীয় নিয়ম মেনে মাতৃ আরাধনায় অংশ নেন। ১/কে রাধানাথ মল্লিক লেনের এই পুজো ঘিরে এবারেও সাজো সাজো রব।
শুরুর ইতিহাস..
১১৭৮ সালে এই পুজো প্রথম শুরু করেন গুরুপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা হয়, তিনি মায়ের স্বপ্নাদেশ পান।, আর তারপর থেকেই স্বপ্নাদেশে মায়ের রূপ অনুযায়ী কালীমূর্তির আদলে এখানে পূজিতা হন জগদ্ধাত্রী। গুরুপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় পর তাঁর মেয়ের হাত ধরে এই পুজোয় যোগদান করে ঘোষাল পরিবার,মুখোপাধ্যায়, চট্টোপাধ্যায়। আর পুজোর আয়োজনে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার তো রয়েছেই। পুজোয় যোগ দেন দয়াময়ী ভবনের আশপাশের আরও অনেক পরিবার। সকলে সংঘবদ্ধভাবে আজও ধরে রেখেছেন ৩০০ বছরের পুরনো এই পুজোকে।
পুজোর রীতি
পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা শিশির কুমার ঘোষাল জানান,জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীর দিন মূল পুজো আয়োজিত হয়।পুজোয় মাতৃ আরাধনায় যেমন মা জগদ্ধাত্রীকে পুজো করা হয়, তেমনই পূজিতা হন কালী ও দূর্গা।
মায়ের ভোগ
ঘোষাল পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মাছ-ভোগ ছাড়া দয়াময়ী ভবনের মাতৃ আরাধনা অসম্পূর্ণ। তাই পরম্পরা মেনে এখানের জগদ্ধাত্রীর ভোগে থাকে, লাউ চিংড়ি, শোল মাছের পদ, পার্শে মাছের পদ। পুজোর দিন সকালে থাকে এই মাছের পদের সঙ্গে খিচুড়িভোগ। শুধু পুজোর দিন নয়, মায়ের নিত্য পুজোতেও থাকে আমিষ ভোগ।
মায়ের সাজ
মায়ের সাজে এখানে থাকে বেনারসি শাড়ি। সাজানো হয় সোনার গয়নায়। ফুলের সাজে এই কষ্টিপাথরের মাতৃমূর্তি যেন আসামান্য হয়ে ওঠে।