যোধপুর পার্ক শারদীয়া দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয় এবার 'নিরুদ্দেশের খোঁজে' হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি
কলকাতার ঠাকুর দেখা কি শুরু করে দিয়েছেন? পুজোর প্যান্ডেল হপিং প্ল্যানিং এ নিশ্চয়ই রয়েছে যোধপুর পার্কের পুজো!
কলকাতার ঠাকুর দেখা কি শুরু করে দিয়েছেন? পুজোর প্যান্ডেল হপিং প্ল্যানিং এ নিশ্চয়ই রয়েছে যোধপুর পার্কের পুজো! তাহলে , আগে থেকেই জেনে নিন সেখানে এবছর কোন থিম তুলে ধরা হচ্ছে।
আর সেই মত প্ল্যানিং করে নিন সপ্তমী না অষ্টমী কোন দিন দেখতে যাবেন যোধপুর পার্ক শারদীয়া দুর্গোৎসব কমিটির পুজো। এবছর এখানে পুজো উদ্বোধনে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুজোর থিম
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম নামী পুজো যোধপুর পার্কের পুজো। এবছর সোখানের থিম 'নিরুদ্দেশ খোঁজে' । প্রযুক্তির চাপে হারিয়ে যাওয়া নস্টালজিয়াকে এবছর একটু উস্কে দিচ্ছে যোধপুর পার্ক পুজো কমিটি।
[আরও পড়ুন:দেবীর আরাধনায় শৈশবের টুকরো স্মৃতি! ভবানীপুর ৭৫ পল্লির এবারের থিম]
পুজো উদ্যোক্তারা কী বলছেন?
পুজো উদ্যোক্তরা বলছেন, 'আধুনিকতায় আমাদের অস্তিত্বও যে বিপন্ন হতে পারে তা আমরা ভুলতে বসেছি। ইট, কাঠ, লোহা, পাথরের এই জঙ্গল এখন পৃথিবীর আনাচে-কানাচে। সম্পর্কের বন্ধন এই কংক্রিটের জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষের কাছে আলগা হতে বসেছে। আমরা ভুলতে বসেছি আমাদের অতীত। আমাদের ঐতিহ্য। অকারণে সুখের হাতছানি, প্রচুর পণ্যের চাপে সেই বাঁধন আজ হালকা থেকে আরও হালকা হচ্ছে। ফলে মূলের সঙ্গে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে হতে নিঃসঙ্গতাই এখন সম্বল অধিকাংশ পরিবারের। সেটা নিয়েই আমাদের ভাবনা চিন্তা।'
পুজো প্যান্ডেলে কর্মরত শিল্পী কী বলছেন?
শিল্পী বাপাই সেনের কথায় উঠে এসেছে, 'আজ আর কেউ রাতের অন্ধকারে টিমটিমে লাইট নিয়ে রাস্তায় চলে না। আধুনিকতায় বাজারে ইলেকট্রনিক্স চার্জার লাইট আসায় কেউ আর মোমবাতিও জালে না। নেই হেরিকেন, লম্ফ। বর্তমান প্রযুক্তির যে ধরনের পেন বাজারে এসেছে, তার ভারে কলম-দোয়াত-ফাউন্টেন বাজার থেকে হারিয়ে গেছে। সেই সব কিছু দিয়েই মণ্ডপে প্রবেশ এবং বেরনোর দ্বার সাজনো হচ্ছে। অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বাংলার চিরাচরিত পাটশিল্প।
কত বছরে পা দিল এখানের পুজো?
৬৬ তম বর্ষে পা দিচ্ছে যোধপুর পার্কের পুজো। অবহেলিত পটচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়া রেডিও ট্রানজিস্টারের দুনিয়ায় এবছর নিয়ে যাচ্ছে যোধপুর পার্কের দুর্গাপুজো।