মিজো বিধানসভায় প্রথমবার পা রাখল বিজেপি! গেরুয়া শিবিরে কংগ্রেসী 'বুদ্ধা'-র আশীর্বাদ
কীভাবে এক বিদ্রোহী কংগ্রেসী বিধায়কের হাত ধরে মিজোরাম বিধানসভায় প্রথমবারের মতো বিজেপির পা রাখা নিশ্চিত হল, জেনে নিন।
অবশেষে মিজোরামে শিকে ছিল বিজেপির ভাগ্যের। ১৯৯৩ সাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে, এইবারই প্রথম মিজো বিধানসভায় ফুটল পদ্মফুল। আর পদ্মকে জায়গা করে দিলেন বিদ্রোহী কংগ্রেসী নেতা বুদ্ধা ধন চাকমা। ২০১৩ বিধানসভায় তিনি কংগ্রেসের টিকিটেই জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের অগাস্টে ৪ চাকমা ছাত্রকে মেডিকালে সুযোগ করে না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি দল ও মন্ত্রীত্ব ছেড়েছিলেন।
চাকমা সম্প্রদায়ের চার মেদাবী ছাত্রকে চিকিৎসা বিদ্যা পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করেছিল শক্তিশালী ছাত্র সংগঠন মিজো জিরলাই পাওয়াল। কিন্তু কিছুতেই তাঁদের দাবি মানেনি লাল থানহাওলা সরকার। এরই প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন মন্ত্রীসভায় চাকমা সম্প্রদায়ের একমাত্র প্রতিনিধি বুদ্ধা ধন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাকমা সম্প্রদায়ের চোখে তিনি হিরোর মর্যাদা পেয়েছিলেন।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিদ্রোহী কংগ্রেসী নেতাদের দলে টেনেই পা রাখার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। সেই মতো গত অক্টোবর মাসে বুদ্ধা ধনকেও দলে নেওয়া হয় এবং চাকমা অধ্যুসিত তুইচাওয়াং আসনে তাঁকে টিকিট দেয় বিজেপি। তাঁর নিজস্ব জনপ্রিয়তা ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে আরএসএস-এর নিরন্তর প্রচার -এই দুইয়ের মিশেলেই এদিন ভোটের ফল বেরতে দেখা যায় মিজোরামে বিজেপির প্রথম বিধায়ক হিসেবে জয়ী হয়েছেন তিনি।
তবে শুধু চাকমা নয়, সংখ্য়ালঘু মারা সম্প্রদায়ের ভোটও কব্জা করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। ২০১৭ সালেই মারাল্যান্ড ডেমোরক্রেটিক ফ্রন্ট মিশে গিয়েছিল বিজেপির সঙ্গে। পালাক কেন্দ্র থেকে মারা সম্প্রদায়ের অপর এক কংগ্রেস প্রাক্তনী তথা মারা নেতা হিফেই-কেও টিকিট দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তিনি অবশ্য জিততে পারেননি।