আট মাসে তিন লক্ষ কিমি পাড়ি, জনসভা ৪৩৭টি! 'সুপারম্যান' নরেন্দ্র মোদী
বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রচারের কাজে নেমে পড়েন। ১৫ সেপ্টেম্বর হরিয়ানা রেওয়ারিতে প্রথম জনসভাটি করেছিলেন। অধিকাংশ শ্রোতা ছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। সেই শুরু। আগামী ১০ মে তিনি শেষ জনসভা করবেন। কারণ ১২ মে দেশে নবম তথা শেষ দফার ভোট। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ১০ মে পর্যন্ত ধরলে শুধু জনসভার সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৩৭টি। দেশের ২৫টি রাজ্যে তিনি জনসভা করেছেন। মোট তিন লক্ষ কিলোমিটার সফর করেছেন।
এ তো গেল শুধু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দৌড়ে গিয়ে জনসভা করার কাহিনী। এ ছাড়া থ্রি-ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভাষণ দিয়েছেন ১৩৫০টি। ঘরে বসে পৌঁছে গিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে। আগামী পয়লা মে থেকে ১০ মে আরও ৬০০টি ভাষণ তিনি দেবেন থ্রি-ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এর সঙ্গে যোগ করুন 'চায়ে পে চর্চা' প্রচার, যেখানে চা খেতে খেতে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই তালিকায় যোগ হয়েছে ১৯৬টি 'ভারত বিজয়' জনসভা। ধরুন, বরোদা এবং বারাণসীতে সব রোড-শো। এই সব অর্থাৎ জনসভা, রোড-শো, থ্রি-ডি ভাষণ ইত্যাদি ধরলে তাঁর সভার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৫৮২৭টি। যদিও নরেন্দ্র মোদী নিজে এই তালিকায় থ্রি-ডি, 'চায়ে পে চর্চা' ইত্যাদি রাখতে রাজি নন বলেই খবর! তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, ৪৩৭টি জনসভাই বা কম কী!
বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেছেন, এবার উত্তরপ্রদেশে নরেন্দ্র মোদী যে ক'টি জনসভা করেছেন, তাতে এক লক্ষ, এমনকী চার লক্ষ পর্যন্ত লোক হয়েছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে নিজের জনপ্রিয়তাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি! তাঁর সভাগুলিতে তরুণদের উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে চোখে পড়ার মতো। থ্রি-ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়দের কাছেও। ফলে সমুদ্রপাড়ে এখন নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই।