জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি-টাকার দামে পতনের মধ্যেও আশার আলো! বাঁচিয়ে দিল মোদীর দূরদর্শিতা
দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ার পাশাপাশি, টাকার দাম কমলেও, মুদ্রাস্ফীতি প্রায় একই জায়গায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে মোদী সরকার।
দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ার পাশাপাশি, টাকার দাম কমলেও, মুদ্রাস্ফীতি প্রায় একই জায়গায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে মোদী সরকার। ফসল ভাল হওয়ায় এবং খামার জাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার মতো ঘটনা নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে।
সমস্যায় ফেলেনি মুদ্রাস্ফীতি
দেশে
সেপ্টেম্বরের
জন্য
পাইকারি
মূল্যের
মুদ্রাস্ফীতি
দাঁড়িয়েছে
৫.১৩
শতাংশে।
অগাস্ট
মাসে
যা
ছিল
৪.৫৩
শতাংশ।
অন্যদিকে,
সেপ্টেম্বরে
মাসে
শেষ
হওয়া
ত্রৈমাসিকে
পাইকারি
মূল্যসূচকের
বাৎসরিক
বৃদ্ধি
দাঁড়িয়েছে
৪.৯৮
শতাংশে।
একই
সময়ে
ভোক্তা
মূল্যসূচক
বেড়েছে
৩.৮৮
শতাংশ
হারে।
যদিও
গত
তিন
ত্রৈমাসিকে
এর
বৃদ্ধি
ছিল
প্রায়
৪
শতাংশ
হারে।
মুদ্রাস্ফীতি
বাড়লেও,
তা
খুব
বড়
হয়ে
দেখা
দেয়নি।
যেমনটা
হয়েছে,
জ্বালানির
মূল্যবৃদ্ধি
কিংবা
টাকার
দামের
পতনের
ক্ষেত্রে।
বেশি সাশ্রয়
মুদ্রাস্ফীতি। সাধারণের ভাষায়, সাধারণভাবে যা বাজারের সব কিছুর ওপর প্রভাব ফেলে। যদি এই মুদ্রাস্ফীতিকে রোখা যায়, অর্থাৎ যদি সরকার মূল্যবৃদ্ধিকে রোধ করতে পারে, তার প্রভাব পড়ে অনেকটাই। মুদ্রাস্ফীতি না হওয়াটা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে খুশির খবরও বটে। কিন্তু তা সরকারের খরচের ওপর প্রভাব ফেলে। খাদ্যদ্রব্যের দাম কম থাকায় সরকারকে একই শষ্যের জন্য বেশি টাকা দিতে হবে কৃষককে। ২০২২ সাল নাগাদ খামারজাত আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে সর্বনিম্ন সমর্থন মূল্যের জন্য এমনই ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকাটা সাধারণের জন্যও খুশির খবর। ধান, দুধ, তৈলবীজের মূল্য হ্রাস হয়েছে। অন্যদিকে, সিরিলস, গম এবং আলুর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫.৫৪%, ৮.৮৭% এবং ৮০.১৩%। পাইকারি দিক থেকে দেখতে গেলে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে পিঁয়াজ, ডিম এবং মাংসে।
আশার থেকেও সস্তা হয়েছে গম
অনেকেই মনে করেছিলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিও বাড়বে। কেননা তেলের দাম বাড়ুক বা কমুক, মুদ্রাস্ফীতিও তাকেই অনুসরণ করে থাকে। কেননা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হলে, তার প্রভাব সরাসরি পড়ে অর্থনীতিতে।
২০১৪-র নির্বাচনে আগে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছিল দ্রুতগতিতে। ভোক্তা মূল্যসূচকও পৌঁছে গিয়েছিল দু-সংখ্যায়। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় ইউপিএ-টু সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছিল। ২০১৪-র মার্চ পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্যের ভোক্তা মূল্যসূচক এবং পাইকারি মূল্যসূচক বেড়েছিল দ্রুতহারে।
আশার থেকেও ২৫% সস্তা হয়েছে ধান
আগে রিজার্ভব্যাঙ্ক তাদের নীতি ঠিক করতে পাইকারি মূল্যসূচককেই ব্যবহার করত। এখন সেজায়গায় ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতিকে বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে মনে রাখার জন্য ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি অনুসরণ করাই সুবিধাজনক। যার মাপকাঠি সহজ এবং ভোক্ত মূল্যের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।