স্ট্রাইকরেট ৪১ শতাংশ - কেমন ফল হল 'হিন্দুত্বের পোস্টার বয়' যোগীর প্রচারে
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির তারকা প্রচারক হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
তাঁকে বলা হয় হিন্দুত্বের পোস্টার বয়। মোদী-অমিত শাহের পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথই এযাবতকালে বিজেপির তারকা প্রচারক। সদ্য হওয়া বিধানসভা নির্বাচনেও মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ও ছত্তিশগড়ে প্রচারের জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফল বের হওয়ার পর তাঁর কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
ফলাফলের সাম্প্রতিক ট্রেন্ড বলছে আদিত্যনাথের প্রচার করা এলাকাগুলির ৫৯ শতাংশ আসনেই পিছিয়ে আছে বিজেপি। তিন রাজ্য মিলিয়ে মোট ৬৩টি, বিধানসভা আসনে সভা করেছিলেন যোগী। তার মাত্র ২৬টি আসনে এগিয়ে আছে গোরুয়া শিবির। ক্রিকেটের পরিভাষায় বলা যায় যোগীর স্ট্রাইক রেট মাত্র ৪১ শতাংশ।
তিনি সবচেয়ে খারাপ খেলেছেন ছত্তিশগড়ে। এখানকার ২৪টি বিধানসভা আসনে তিনি সভা করেছিলেন। বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৮টিতে। ৫ বছর আগে এই ২৪টি আসনের ১৬টি পেয়েছিল বিজেপি। মধ্য়প্রদেশেও তাঁর প্রচার করা ১৩টি আসনের মাত্র ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি, যেখানে ২০১৩ সালে এর ৮টি পেয়েছিলেন মোদী-অমিত শাহরা। আর রাজস্থানে ২৬টি আসনে প্রচার চালিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দিতে পেরেছেন ১৩টি আসন। ২০১৩ সালের বিজেপির পাওয়া আসনের থেকে ১০টি কমেছে।
যোগীর এই ব্যর্থতা শুধু তারকা প্রচারক হিসাবে তাঁর যোগ্যতা নয়, বিজেপির স্ট্র্যাটেজি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ শুধু মাত্র একজন তারকা প্রচারক নন, তিনি হিন্দুত্বের ম্যাসকট। রাজস্থানে গিয়ে জইশই-মহম্মদ প্রধানকে সার্জিকাল স্ট্রাইকের হুমকি দেওয়া হোক কি হনুমানকে দলিত বলে আখ্যা দেওয়া - তাঁর প্রচারের মূল লক্ষ্যই হল ধর্মীয় মেরুকরণ। তাঁর এই ব্যর্থতা বিজেপিকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে, ধর্মীয় মেরুকরণের স্ট্র্যাটেজি আগামী দিনে আর চলবে তো?