নোট বাতিলের সময় 'দু'ধরনের কথা! আরবিআই-এ পুওর চয়েস শক্তিকান্ত, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
শক্তিকান্ত দাসকে আরবিআই-এর গভর্নর নিযুক্ত করার মাধ্যমে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ প্রকাশ করে ফেলেছে ভারতীয় অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শক্তিকান্ত দাসকে আরবিআই-এর গভর্নর নিযুক্ত করার মাধ্যমে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ প্রকাশ করে ফেলেছে ভারতীয় অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নোট বাতিলের সময় দুধরনের কথা বলেছিলেন শক্তিকান্ত। পরবর্তী সময়ে তার কথা ভুল বলেই প্রমাণিত হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
শক্তিকান্ত দাস কেন্দ্রীয় সরকারের ইকনোমিক অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি। ১৫ তন অর্থ কমিশনেরও সদস্য তিনি। নোট বাতিলের সময় পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই সময়ে এই শক্তিকান্ত দাসকে দুধরনের প্রেস ব্রিফিং করতে দেখা গিয়েছিল। সেই নিয়েও উঠেছিল বিতর্ক।
প্রথম ধরনের প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি সরকারের ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন। পিছনে যুক্তিও খাড়া করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেছিলেন, এতে কালো টাকা প্রতিহত হবে। জাল নোটও বন্ধ হবে। ডিজিট্যাল পেমেন্ট বাড়বে। এছাড়াও কমসুদে ঋণ পাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় ধরনের প্রেস ব্রিফিং-এ বেশ কিছু ভয়াবহ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করতেও শোনা গিয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। সেই সময় নগদের অভাবে ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। সেই সময় প্রতিদিনের টাকা তোলার পরিমাণ ৪,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
নোটবাতিলের
জেরে
কৃষকরা
সমস্যায়
পড়েছিলেন।
শক্তিকান্ত
দাসকে
ঘোষণা
করতে
শোনা
গিয়েছিল,
কৃষকরা
২৫
হাজার
টাকা
পর্যন্ত
লোন
তুলতে
পারবেন।
সেই
একই
সাংবাদিক
সম্মেলনে
তিনি
বলেছিলেন,
বিয়ের
জন্য
২.৫
লক্ষ
টাকা
পর্যন্ত
এককালীন
তোলা
যাবে।
যদিও
তার
আগে
কাগজপত্রের
মাধ্যমে
ব্যাঙ্ক
ম্যানেজারকে
সন্তুষ্ট
করতে
করার
কথাও
জানানো
হয়েছিল।
সেই সময় সরকারের তরফে যা চড়াই-উথরাই এসেছে, তৎকালীন এই সচিবকে তা সমর্থন করতেই দেখা গিয়েছিল। প্রায় তিনমাস পরে ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন নোটবাতিলের জেরে কৃষির ওপর কোনও প্রভাব পড়েনি।
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সেই সময় যে সমস্ত দাবি শক্তিকান্ত দাস করেছিলেন, তার কোনওটিই ঠিক নয়। বরং কালো টাকা, সোনা পাচার, বেনামী জমি কিংবা শেয়ার, কোনও কিছুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারেনি নোটবাতিল। ডিজিট্যাল পেমেন্টসও আস্তে আস্তে কমে গিয়ে, নোটবাতিলের পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে গিয়েছে।