রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নয়, ২০১৯-এ বিজেপিকে হারানোই মূল লক্ষ্য পাইলট-গেহলটের
রাজস্থানে পরিবর্তন হয়েছে। বদল হয়েছে বসুন্ধরা-রাজের। তবে লড়াই এখানেই শেষ নয়। মহাযুদ্ধ তো ২০১৯-এ।
রাজস্থানে পরিবর্তন হয়েছে। বদল হয়েছে বসুন্ধরা-রাজের। তবে লড়াই এখানেই শেষ নয়। মহাযুদ্ধ তো ২০১৯-এ। আর কয়েক মাস পরেই দিল্লির মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদীর অপসারণ ঘটানোর লড়াই-ই আসল কথা। তাই মুখ্যমন্ত্রিত্ব লক্ষ্য নয়, লক্ষ্য বিজেপিকে দিল্লির তখল থেকে সরানো। মুখ্যমন্ত্রী পদের দুই দাবিদান অশোক গেহলট ও সচিন পাইলটের উভয়ের মুখেই এক কথা।
রাজস্থানের কুর্সি প্রসঙ্গে অশোক গেহলট
অশোক গেহলট বলেন, রাজস্থানে পরিবর্তন এনেছি আমরা একসঙ্গে। সামনে আরও বড় লড়াই। ২০১৯-এর মহাযুদ্ধ। তাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য হল দিল্লি থেকে বিজেপির অপসারণ। তার জন্য আমাদের সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। হাইকম্যান্ড যাকে দায়িত্ব দেবে রাজস্থানের, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব।
সামনে ২০১৯, হাইকম্যান্ডে ভরসা সচিনের
এদিন রাজস্থানের মসনদে কে বসবনেস, তা নিয়ে যখন বৈঠকে বসেছেন নেতৃত্ব, তখন প্রদেশ কংগ্রেস অফিসের বাইরে সচিন পাইলটের নামে জয়ধ্বনি চলছে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন সচিন অনুগামীরা। এই পরিস্থিতিতে সচিন পাইলট নিজে জানান, হাইকম্যান্ডের উপর ভরসা রাখুন, হাইকম্যান্ড রাজস্থানের জন্য সব থেকে ভালোটাই করবেন। আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই এগোব।
বুধবারই চূড়ান্ত, রাজস্থানের কুর্সিতে কে
বুধবারের মধ্যেই কংগ্রেস স্থির করে ফেলতে চাইছে, কুর্সিতে কে বসতে চলেছেন। সেই কারণেই বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বৈঠক। রাহুল গান্ধী আইসিসি সদস্য কেসি বেনুগোপালকে রাজস্থানে পাঠিয়েছেন। তিনি প্রত্যেক সদস্যের মত হাইকম্যান্ডকে জানাবেন। সন্ধ্যায় আরও একটি বৈঠকের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে রাজস্থানের মসনদে কে বসছেন।
মহাযুদ্ধে মোদীকে হারানোই লক্ষ্য রাহুলের
কুর্সিতে কাউকে বসানোর আগে কংগ্রেস দশদিক ভেবে নিয়ে এগোচ্ছে। কারণ সামনেই মহাযুদ্ধ। ২০১৯-এর মহাযুদ্ধে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, তার দিকে সর্বাগ্রে নজর দিতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে নজর দিতে হচ্ছে রাজস্থানের জাতপাতের রাজনীতিকেও। কোনও জাতির যেন আঘাত না লাগে, সেইসব দিক ভেবেই রাহুল গান্ধী চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী স্থির করতে।
পরিবর্তনের মুখ না পাকা মাথায় ভরসা
যুবসমাজের প্রতিনিধি সচিন পাইলট। তিনি পরিবর্তনের মুখও। তাঁকেই বেছে নেওয়া হবে নাকি প্রবীণ অভিজ্ঞ অশোক গেহলটেই ভরসা রাখবেন রাহুল, তা নিয়েই এখন লাখটাকার প্রশ্ন। সচিন যেমন রাহুল গান্ধীর অতিঘনিষ্ঠ, তেমনই অশোক গেহলটের সঙ্গেও রাহুলের সম্পর্ক ভালো। কিন্তু রাহুল গান্ধী এ ব্যাপারে সবার আগে গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজস্থানের মানুষের মতকে। কোনওভাবেই যাতে ২০১৯-এর আগে রাজস্থানের ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব না পড়ে, সেসব চিন্তা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন রাহুল।