দুর্নীতিগ্রস্ত শক্তিকান্ত দাস! নতুন আরবিআই গভর্নর নিয়ে বিস্ফোরক স্বামী
আরবিআই গভর্নর হিসেবে শক্তিকান্ত দাসের নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রামনিয়ান স্বামী।
আরবিআই গভর্নর হিসেবে শক্তিকান্ত দাসের নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রামনিয়ান স্বামী। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন। স্বামীর অভিযোগ, শক্তিকান্ত দাস প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের দুর্নীতিমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। এমন কী আদালত সম্পর্কীয় মামলা থেকে চিদাম্বরমকে তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন সুব্রামনিয়ান স্বামী।
উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগের পর মঙ্গলবার সরকার প্রাক্তন আমলা শক্তিকান্ত দাসকে আরবিআই-এর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ করে। তিনি ভারতের ৮৩ বছরের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ২৫ তম গভর্নর।
মোদী সরকারে যেসমস্ত বিতর্কিত কাজে শক্তিকান্ত দাসের সমর্থন ছিল, তার মধ্যে রয়েছে নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত। বলা যেতে পারে নোটবাতিলের নেপথ্যে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে শক্তিকান্ত ছিলেন অন্যতম। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সুদের হার কমানোরও পক্ষে ছিলেন মোদী সরকারেরল কাছেই এই আমলা।
স্বামী সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক থেকে উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগ নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতের অর্থনীতিতে যে তা প্রভাব ফেলতে পারে তারও কথা বলেছিলেন তিনি।
নির্দিষ্ট সময়ের ১০ মাস আগেই উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগ নিয়ে সুব্রামনিয়ান স্বামী বলেছিলেন, এই ঘটনা অর্থনীতি, আরবিআই এবং সরকারের পক্ষে ক্ষতিকারক। নতুন সরকার আসা পর্যন্ত কিংবা জুলাই পর্যন্ত উর্জিত প্যাটেলকে রাখা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্বামী। এমন কী উর্জিত প্যাটেলকে ডেকে পাঠিয়ে পদত্যাগের কারণ প্রধানমন্ত্রীর জিজ্ঞাসা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বৃহত্তর স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
শক্তিকান্ত
দাস
ছিলেন
তামিলনাড়ু
ক্যাডারের
আইএএস।
অর্থমন্ত্রকের
সঙ্গে
উর্জিত
প্যাটেলের
বিরোধ
প্রসঙ্গে
প্রশ্ন
করা
হলে
স্বামী
বলেন,
স্বাধীন
রবার
স্ট্যাম্প
নয়
এমন
আরবিআই
গভর্নরের
হলে,
সেটা
সবসময়ই
হয়।
BJP MP Subramanian Swamy: Shaktikanta Das being appointed as RBI Governor is wrong, he has worked closely in corrupt activities with P Chidambaram and even tried to save him in court cases. I don't know why this was done, I have written a letter to PM against this decision. pic.twitter.com/FuFEP9OAsu
— ANI (@ANI) December 12, 2018