#MeToo-অভিযোগের জের! শেষ পর্যন্ত ইস্তফা এমজে আকবরের
সাংবাদিক থেকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এমজে আকরবর ইস্তফা দিলেন। বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা সাংবাদিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন।
সাংবাদিক থেকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এমজে আকরবর ইস্তফা দিলেন। বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা সাংবাদিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর ওপর ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছিল।
যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার সময় বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন নাইজেরিয়ায়। এই সপ্তাহের শুরুতে মি-টু নিয়ে শোরগোল শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমজে আকবরের বিরুদ্ধে যাঁরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই সাংবাদিক। এমজে আকবর সেই সময় ছিলেন একটি পত্রিকার সম্পাদক। এবিষয়ে সর্বশেষ অভিযোগটি করেছিলেন আমেরিকার এক সাংবাদিক।
তিনি রবিবার বিদেশ থেকে ফেরার পর জানা গিয়েছিল, মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর পদত্যাগের ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মহিলা সাংবাদিকের বয়ান অনুযায়ী, তিনি আকবরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই হাত চেপে ধরে কাছে টেনে নিয়েছিলেন বর্তমান বিজেপি সরকারের এই মন্ত্রী। চুম্বন করেছিলেন। এমনকি বলপূর্বক তাঁর জিভটিও তাঁর( মহিলা সাংবাদিক) মুখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন মাজলি দ্য পুয়ে কাম্প।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমজে আকবর বলেছেন, এবিষয়ে পরবর্তী সময়ে বিবৃতি দেবেন। পরে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খণ্ডন করেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বেশিদিন মন্ত্রিসভায় রাখা নাও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীই এবিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছিল।
যদিও, অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই যৌন হেনস্থা নিয়ে অভিযোগকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালের মত ছিল, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত এমজে আকবরের। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী মেনকা গান্ধী এমজে আকবরের বিরুদ্ধে তদন্তের কথা বলেছেন।
অন্যদিকে, কংগ্রেস, সিপিএম, এআইএমআইএম-এর তরফে ৬৭ বছর বয়সী এমজে আকবরের ইস্তফার দাবি করা হয়েছিল।
এমজে আকরব জানিয়েছেন, নিজের জোরেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি মনে করেছেন, পদত্যাগ করেই মিথ্যা অভিযোগের মোকাবিলা করা উচিত। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ দেওয়ায়।