সৌদিতে তেলের কারখানায় বিস্ফোরণে ইরানের হাত, সেনা তৎপরতা বাড়াল আমেরিকা
সৌদি আরবে আমরাকো তেলের কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটানোয় হাত রয়েছে ইরানের। এমনই সন্দেহ করে সৌদিতে সেনা তৎপরতা শুরু করেছে আমেরিকা।
সৌদি আরবে আমরাকো তেলের কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটানোয় হাত রয়েছে ইরানের। এমনই সন্দেহ করে সৌদিতে সেনা তৎপরতা শুরু করেছে আমেরিকা। আকাশপথে নজরদারি বাড়িয়েছে মার্কিন সেনা। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তৎপরতা শুরু করেছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে।
ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের তিক্ততা গত এক বছর ধরেই চরমে পৌঁছেছে। ইরানের আকাশে মার্কিন বায়ুসেনার উঁকি নিয়ে রীতিমতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। আমেরিকাকে রীতিমতো হুশিয়ারি দিয়ে ইরান জানিয়েছিল প্রতিটি গুলির জবাব পাল্টা গুলিতে দেবে তারা। সেই মতো ইরানের বায়ুসেনা প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিল।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, পেন্টাগন থেকে অ্যান্টি মিসাইল সমরাস্ত্র, ড্রোন, যুদ্ধ বিমান পাঠানোর উদ্যোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। সৌদি সরকারের অনুরোধেই নািক মার্কিন সেনার এই তৎপরতা বলে শোনা যাচ্ছে । আমারাকো তেল কারখানায় ড্রোন হামলার পর সৌদি সরকার আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিল। তাতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব, মার্ক এসপার জানিয়েছেন, সৌদি আরবের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধ করার উপরেই প্রাথমিক ভাবে বেশি নজর দিচ্ছে মার্কিন সেনা। সৌিদ আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও তাঁদের সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেহরানের বিরুদ্ধে আর্থনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলারও ডাক দিয়েছেন।