রাজনৈতিকভাবে না পেরেই স্ত্রীকে হেনস্থা! চৌকিদাররা কি ঘুমিয়ে ছিলেন, তোপ অভিষেকের
ভোটের মুখে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য তাঁর স্ত্রীকে বিমানবন্দরে আটক করে হেনস্থা করা হয়েছে বলে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটের মুখে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য তাঁর স্ত্রীকে বিমানবন্দরে আটক করে হেনস্থা করা হয়েছে বলে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে এক এক করে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানিয়েছেন, প্রমাণ দেখাক, তিনি যে কোনও তদন্ত বসতে রাজি।
উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বেআইনিভাবে দুকেজি সোনা নিয়ে ট্রাভেল করার জন্য বিমানবন্দরে আটকে হেনস্থা করা হয়। তার প্রতিবাদেই গর্জে ওঠেন অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপিকে নিশানা করে এক এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তাঁর প্রশ্ন, প্রোফাইল শব্দের অর্থ কী? সিসিটিভি ফুটেজ দেখাক কাস্টমস? সিআইএসএফকে কেন ডাকা হল না? চৌকিদার কি তখন ঘুমিয়ে ছিল? যদি সোনা উদ্ধার হয়ে থাকে, কেন সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করা হল না?
WB CM nephew Abhishek Banerjee(His wife was held at Kol airport on Mar15-16 allegedly for carrying gold without declaration&later let off after Kolkata police intervened: Open to inquiry. Show CCTV footage that proves my wife received any special assistance,&I will leave politics pic.twitter.com/PUkQudo49a
— ANI (@ANI) March 24, 2019
অভিষেক বলেন, আমার স্ত্রীকে বিমানবন্দরে আটকে হেনস্থা করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী বলেই তাঁকে হেনস্থা হতে হয়েছে। নোংরা রাজনীতির শিকার হতে হয়েছে। এসব ভোটের মুখে বিজেপি ও সিপিএমের অপপ্রচার। ওরা কখনও বলছে ২ কেজি সোনা, কখনও বলছে ৭০ লক্ষ টাকা, কখনও ৫০ হাজার ডলার পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:সল্টলেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ, দেখুন ভিডিও]
আমি বলছি, ওরা প্রমাণ করুক, দুগ্রাম সোনা ছিল। কোনও প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। আসলে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে না পেরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে ওরা। তবে দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রয়েছে। আমরা আইনানুগ সমস্তরকম ব্যবস্থা নেব। যেখানে জানানোর সঠিক জায়গায় জানাব। তিনি পাল্টা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ আনেন।
[আরও পড়ুন:প্রচারে বেরিয়ে ঝটকা তৃণমূল-সিপিএমকে, ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে শপথ রাহুলের]
অভিষেক বলেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলাম আমি। সেজন্যই কি গায়ের জ্বালা হয়েছে ওঁদের! আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে না পেরে আমার স্ত্রীকে হেনস্থা করছে। ওঁরা যদি ভেবে থাকেন, আমার স্ত্রীকে হেনস্থা করে আমাকে নোয়াতে পারবে, তবে ভুল ভেবেছে। আমি ছাড়ার পাত্র নই। এর শেষ দেখে ছাড়ব।
[আরও পড়ুন:রায়গঞ্জে প্রচারে সেলিম! মানুষই জবাব দেবে, বললেন বাম সাংসদ]