ক্ষমাপ্রার্থী রাহুল, কলকাতার পুজোয় দূত হয়ে এলেন খুরশিদ, শোনালেন সভাপতির বার্তা
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কলকাতার দুর্গাপুজোয় আসতে না পারলেও, তাঁর দূত হয়ে এলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। শেষপর্যন্ত রাহুল গান্ধীকে না পেলেও তাঁর বার্তা নিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা উপস্থিত হওয়ায়
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কলকাতার দুর্গাপুজোয় আসতে না পারলেও, তাঁর দূত হয়ে এলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। শেষপর্যন্ত রাহুল গান্ধীকে না পেলেও তাঁর বার্তা নিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা উপস্থিত হওয়ায় মুখরক্ষা হল প্রদেশের। খুরশিদ জানালেন, কংগ্রেস সভাপতি পুজোর কলকাতায় আসতে না পারার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী বাংলার মানুষের কাছে। তিনি শীঘ্রই আসবেন কলকাতায়।
বুধবার দুর্গা-অষ্টমীতে কলেজ স্কোয়ার-সহ একাধিক পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেন এআইসিসি নেতা সলমন খুরশিদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী প্রমুখ। সলমন কলকাতার দুর্গোৎসব দেখে বেজায় খুশি।
তিনি বলেন, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল কলকাতার দুর্গাপুজোয় অংশ নেওয়ার। এতদিন পর সেই সুযোগ হল। আমি ধন্য। দিল্লিতেও পুজো হয়, কিন্তু সময়-অভাবে যাওয়া হয় না। আর কলকাতায় তো পুজো মানেই উৎসব, বাংলার সেরা উৎসব, তাই কলকাতার পুজোয় অংশ নেওয়ার মজাই আলাদা।
এদিন কলকাতার বিখ্যাত পুজো মণ্ডপ কলেজ স্কোয়ারে ২০ মিনিট ছিলেন সলমন খুরশিদ। তিনি মায়ের উদ্দেশ্যে পুষ্প নিবেদনও করেন। তিনি বলেন, দুটো পুজো দেখে এলাম, আরও দুটো পুজো দেখব। খুব ভালো লাগছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পাঠানো বার্তা আমি প্রদেশ কংগ্রেসকে দিয়েছি। রাহুলজি খুব শীঘ্রই বাংলায় আসবেন বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এবার দুর্গাপুজোর মহাষ্টমীতে তিলোত্তমা কলকাতার পুজোয় অংশ নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। প্রদেশ কংগ্রেসও উৎসাহিত ছিল রাহুলকে পাওয়ার আশায়। জানা গিয়েছিল, এবার পুজোয় অষ্টমীর দিন কলকাতায় এসে কলেজ স্কোয়ারের পুজোমণ্ডপে অঞ্জলি দেবেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু তিনি নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারছেন না কলকাতা সফরে।
[আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি-টাকার দামে পতনের মধ্যেও আশার আলো! বাঁচিয়ে দিল মোদীর দূরদর্শিতা]
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ ৫ রাজ্যের নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তাই প্রচারের জন্য কংগ্রেস সভাপতিকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে তাঁকে প্রচার করতে যেতে হচ্ছে। তাই তাঁর পক্ষে কলকাতায় আসা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি এ জন্য গভীরভাবে দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী।
[আরও পড়ুন:জিএসটি চালুতে আখেরে লাভ হল কাদের, কীভাবেই বা লাভবান হলেন তারা, জেনে নিন ]
[আরও পড়ুন:খাবারের দাম চাইতেই দোকান মালিকের পেটে ছুরি! উৎসবের বাংলায় নৃশংস কাণ্ড শুভেন্দুর গড়ে]