লোকসভার লক্ষ্যে একনজরে! অনেক উত্থান-পতনের কেন্দ্র যাদবপুর
আজ আমরা কথা বলব যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে। কলকাতা ঘেঁষা এই কেন্দ্রে রদবদল হয়ে বহুবার। মহারথিদের উত্থান-পতন দেখেছে এই কেন্দ্র।
আজ আমরা কথা বলব যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে। কলকাতা ঘেঁষা এই কেন্দ্রে রদবদল হয়ে বহুবার। মহারথিদের উত্থান-পতন দেখেছে এই কেন্দ্র।
বাম আমলের শুরু দিকে এই কেন্দ্রের লড়াই হয়েছে সিপিআইএম-এর সঙ্গে কংগ্রেসের। তৃণমূল গঠনের পর লড়াই হচ্ছে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিআইএম-এর।
একনজরে মথুরাপুর
১৯৮৪
সাল
থেকে
এই
যাদবপুর
কেন্দ্রের
দিকে
একটু
নজর
রাখা
যাক।
ওই
বছরে
এই
যাদবপুর
কেন্দ্রে
জেতার
পর
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নাম
সামনে
আসে।
তৎকালীন
সময়ে
প্রভাবশালী
বলে
পরিচিত
সিপিআইএমের
সোমনাথ
চট্টোপাধ্যায়কে
১৯৬৬০
ভোটে
হারিয়ে
দেন
কংগ্রেস
প্রার্থী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাঁচ
বছর
পরে
এই
কেন্দ্র
থেকেই
৩০,৯০০
ভোটে
অধ্যাপিকা
সিপিআইএম-এর
মালিনী
ভট্টাচার্যের
কাছে
হেরে
যান
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর
এই
কেন্দ্র
থেকে
সরে
দক্ষিণ
কলকাতা
কেন্দ্রে
চলে
যান
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রে
ভিপি
সিং
এবং
চন্দ্রশেখরের
সরকার
না
টেকায়
দুবছরের
মধ্যেই
ফের
ভোট
হয়
কেন্দ্রে।
সেই
ভোটেও
সিপিআইএম
তাদের
ভোটের
ব্যবধান
বাড়িয়ে
নেয়।
অধ্যাপিকা
মালিনী
ভট্টাচার্যের
কাছে
পরিজিত
হন
অপর
অধ্যাপক
সন্তোষ
ভট্টাচার্য।
ব্যবধান
ছিল
৫০
হাজারের
বেশি।
যাদবপুর
কেন্দ্রে
জনসংখ্যা
২,১১২,৪৪৭
জন।
গ্রামীণ
এলাকায়
বাস
করেন
৭.০৪
শতাংশ
মানুষ
আর
শহুরে
মানুষের
সংখ্যা
৯২.৯৬
শতাংশ।
মথুরাপুরে বসু পরিবার
১৯৯৬ সালে প্রার্থী বদল করে কংগ্রেস। যাদবপুর কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী করা হয় নেতাজি পরিবারের কৃষ্ণা বসুকে। ১৩ হাজারের বেশি ভোটে হেরে যান সিপিআইএম-এর মালিনী ভট্টাচার্য। দেবেগৌড়া, গুজরালের সরকার না টেকায় দুবছরের মধ্যেই ফের নির্বাচন। কিন্তু ফলাফলের কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং ব্যবধান বাড়িয়ে নেন কৃষ্ণা বসু। সেবারও ওই কেন্দ্রে প্রার্থী মালিনী ভট্টাচার্য। ৭৮ হাজারের বেশি ভোটের পরাজিত হন মালিনী ভট্টাচার্য। তবে সেবার কৃষ্ণা বসু প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের তরফে।
১৯৯৯-এর ভোটে প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের কৃষ্ণা বসু। কিন্তু সিপিআইএম-এর তরফে প্রার্থী করা হয়েছিল কান্তি গাঙ্গুলিকে। ৬৬ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হন কান্তি গাঙ্গুলি।
২০০৪
সালের
ভোটে
সিপিআইএম
এই
কেন্দ্রে
প্রার্থী
বদল
করে।
সুজন
চক্রবর্তীকে
প্রার্থী
করা
হয়।
তাঁর
কাছে
হেরে
যান
তৃণমূলের
কৃষ্ণা
বসু।
ব্যবধানও
ছিল
৮৯
হাজারেরও
বেশি।
২০০৯
সালে
এই
কেন্দ্রে
প্রার্থী
বদল
করে
তৃণমূল।
প্রার্থী
করা
হয়
কবীর
সুমনকে।
তাঁর
কাছে
হেরে
যান
সুজন
চক্রবর্তী।
ব্যবধান
ছিল
৫৬
হাজারেরও
বেশি।
কিন্তু
২০১৪-এ
তৃণমূল
আসন
দখলে
রাখলেও
প্রার্থী
বদল
করা
হয়।
কবীর
সুমন
বিক্ষুব্ধ
হয়ে
ওঠায়
প্রার্থী
করা
হয়
অধ্যাপক
সুগত
বসুকে।
সিপিআইএমের
তরফে
প্রার্থী
ছিলেন
সুজন
চক্রবর্তী।
একলক্ষ
২৫
হাজারের
বেশি
ভোটে
পরাজিত
হন
তিনি।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের প্রেক্ষাপটে ঘাটালের রাজনৈতিক মানচিত্র একনজরে]
২০১৪-র ভোট চিত্র
২০১৪-র নির্বাচনে যাদবপুরে মোট ভোটদাতা ছিলেন ১৫,৯ ৫, ৭৪৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটদাতা ছিলেন ৮০২,৬৫৩ জন এবং মহিলা ভোটদাতা ছিলেন ৭,৮৪, ৩০৫ জন। সবমিলিয়ে ভোট দিয়েছিলেন ১,২৭২,৩৬২ জন। ভোটদানের হার ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে যেসব বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, সোনারপুর দক্ষিণ, সোনারপুর উত্তর, ভাঙর, যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ।
[আরও পড়ুন:লোকসভার লক্ষ্যে একনজরে মথুরাপুর! সিপিএম থেকে তৃণমূল]