ডিএ মামলায় ‘ঐতিহাসিক’ জয় রাজ্য সরকারিকর্মীদের, হাইকোর্টের রায়ে অবশেষে ফিরল অধিকার
ডিএ মামলায় অবশেষে ঐতিহাসিক জয় পেলেন রাজ্যসরকারি কর্মীরা। ১৭ মাসের লড়াই শেষে হাইকোর্টের রায়ে কাঙ্খিত জয় পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি শ্যামলেন্দু মিত্র।
ডিএ মামলায় অবশেষে ঐতিহাসিক জয় পেলেন রাজ্যসরকারি কর্মীরা। ১৭ মাসের লড়াই শেষে হাইকোর্টের রায়ে কাঙ্খিত জয় পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি শ্যামলেন্দু মিত্র। মূল মামলাকারী মলয় মুখোপাধ্যায়ও উচ্ছ্বসিত। সংগঠনের তরফে দাবি, এবার স্যাটেও তাঁরা ন্যায়বিচার পাবেন।
শুক্রবার ডিএ মামলার রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, ডিএ সরকারের মর্জি নয়, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনত অধিকার। দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিএ-ও বৃদ্ধি পাবে। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ এই মর্মে নির্দেশ জারি করে, রোপা আইন অনুযায়ী মহার্ঘভাতা আইনত অধিকার।
এর ফলে স্যাটের রায় এদিন খারিজ হয়ে গেল। এর আগে রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বা স্যাট রায় দিয়েছিল, মহার্ঘভাতা বা ডিএ রাজ্য সরকারের মর্জি। রাজ্য সরকার ইচ্ছা করলে দেবে, না চাইলে নাও দিতে পারে। অর্থাৎ ডিএ রাজ্যের দয়ার দান- স্যাটের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে মামলা করে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন।
১৭ মাস ধরে ৩৮টি শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেয় কর্মচারীদের পক্ষে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে আইনজীবী আমজাদ আলি বলেন, এই মামলার তিনটি দিক ছিল। এক, ডিএ যে 'দয়ার দান' নয়, তা প্রমাণ করা। সেই প্রশ্নে জয় হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। কারণ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, রাজ্যের মর্জি নয়, তা রাজ্য সরকারে কর্মীদের আইনি অধিকার।
দ্বিতীয় প্রশ্ন, রাজ্য সরকারি কর্মীরা কি কেন্দ্রীয় সরাকরি কর্মীদের সমতুল্য মহার্ঘভাতা পাবেন। তা স্থির করার জন্য স্যাটকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্যাটকে বিচার করে রায় দিতে হবে এই মর্মে। আর পুনরায় স্যাটে ডিএ মামলা ফিরলেও রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী এবার তাঁদের দাবি পূরণ হবেই। স্যাটেও আসবে কাঙ্খিত জয়।
আর তৃতীয় প্রশ্ন হল, রাজ্যের যে সমস্ত কর্মী চেন্নাই বা বঙ্গভবনে কর্মরত, তারা কেন্দ্রের সমহারে ডিএ পাচ্ছে। অথচ রাজ্যের কর্মরত কর্মীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেন এমন দোরোখা নিয়ম। এমনকী এই মর্মে দাবি পেশ করতে পারেননি কর্মীরা। তার জবাবে, হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, এই সংক্রান্ত দাবি পেশ করা যাবে ট্রাইবুনালে।
আইনজীবী আমজাদ আলি থেকে শুরু করে সংগঠনের পক্ষে শ্যামল মিত্র ও মলয় মুখোপাধ্যায়ের প্রত্যেকেই দাবি এদিনের জয় ঐতিহাসিক। হাইকোর্ট আজ ঐতিহাসিক রায় দিয়ে সরকারি কর্মীচারীদের অধিকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা দিয়েছে। বিচারব্যবস্থার প্রতি সরকা্রি কর্মচারীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এবার স্যাটেও যে তাঁদের জয় অবশ্যম্ভাবী সেই বার্তা দিয়ে রাখেন সরকারি কর্মীরা।