রায়গঞ্জে মিড ডে মিল বিতর্ক, শিক্ষকদের বের করে স্কুলে তালা অভিভাবকদের
ছাত্রছাত্রীদের ঠিকমতো মিড ডে মিলের খাবার খেতে দেওয়া হয় না। বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা সময়মতো আসেননা।
ছাত্রছাত্রীদের
ঠিকমতো
মিড
ডে
মিলের
খাবার
খেতে
দেওয়া
হয়
না।
বিদ্যালয়ে
শিক্ষক
শিক্ষিকারা
সময়মতো
আসেননা।
এবং
ছাত্র
ছাত্রীদের
দিয়ে
বাজার
করানো
হয়
বলে
অভিযোগ
উঠেছে
বিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষের
বিরুদ্ধে।
এরই
প্রতিবাদে
আজ
বিদ্যালয়
থেকে
শিক্ষক
শিক্ষিকাদের
বের
করে
দিয়ে
বিদ্যালয়
তালাবন্ধ
করে
বিক্ষোভ
দেখাল
রায়গঞ্জের
বারোগন্ডা
প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের
ছাত্র
ছাত্রী
ও
অভিভাবকেরা।
এই ঘটনাটির খবর ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ ব্লকের ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বারোগন্ডা গ্রামে। যদিও বিদ্যালয় মিড ডে মিলের যে ঘটনাটি কতৃপক্ষর বিরুদ্ধে উঠে এসেছে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কতৃপক্ষ। অভিভাবকদের দাবি, অবিলম্বে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন ও মিড ডে মিল স্বাভাবিক করার লিখিত প্রতিশ্রুতি না দিলে তারা স্কুল বন্ধ করে রাখবেন।
বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্জ সমস্ত বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন। রায়গঞ্জ ব্লকের ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বারোগন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে বাজার করানো সহ অন্যান্য কাজ করানো হতো দিনের পর দিন। এছাড়াও বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ঠিকমতো মিড ডে মিলের খাবার দিত না এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা নিয়মিত স্কুলেও আসেন না।
এরই প্রতিবাদে আজ স্কুল খুলতেই ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকেরা মিলে স্কুলের গেটে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এর পরই অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়ে স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।
বারোগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইন-চার্জ প্রভা রায় বর্মন জানিয়েছেন, মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া নিয়ে অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তিনি এও জানান, বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন এবং সুষ্ঠুভাবে পঠন পাঠন হয়। তবে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের দিয়ে বাজার করানোর বিষয়টি একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন টিচার ইনচার্জ প্রভা দেবী।
তিনি আরো বলেন, আগের প্রধান শিক্ষক ছেলেদের দিয়ে বাজার করাতেন, সেই ধারাই বজায় রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের দাবি, বারোগন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন ও মিড ডে মিল স্বাভাবিক না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অভিভাবকদের এই আন্দোলন হওয়াতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুলের পঠন-পাঠন ও অন্যান্য কাজকর্ম।