সৈকতনগরীতে গড়ে উঠছে সৈকত-সরণি, মমতাময়ী পরিকল্পনায় আরও আকর্ষণীয় দিঘা
দিঘাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনার শেষ নেই। দিঘাকে গোয়া করার যে স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছিলেন, এবার সেখানে সংযোজিত হল আরও পরিকল্পনা।
দিঘাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনার শেষ নেই। দিঘাকে গোয়া করার যে স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছিলেন, তা ছাড়িয়ে দিঘায় জগন্নাথতীর্থ গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এরই মধ্যে দিঘাকে মুম্বইয়ের মতো করে গড়ে তোলার উদ্যোগও শুরু হয়ে গিয়েছে। মুম্বইয়ের মতো সৈকত-সরণি তৈরি হচ্ছে এবার দিঘায়।
দিঘায় সমুদ্র-সৈকতে সরণি
দিঘা বাংলার সৈকতনগরী হিসেহবে খ্যাত। কিন্তু সেই দিঘায় নেই সৈকত সরণি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নবতম পরিকল্পনায় দিঘার বুকে সৈকত সরণি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দিঘা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। সমুদ্রের ধার ধরে তৈরি হবে নতুন এই রাস্তা।
কীভাবে হবে এই সৈকত-সরণি
পূর্ব মেদিনীপুরে শুধু নিউ দিঘা বা ওল্ড দিঘাই নয়, রয়েছে আরও তিনি সমুদ্র সৈকত- তাজপুর, শঙ্করপুর, মন্দারমণি। এই চার সমুদ্র সৈকত এবার জুড়ে যাবে এক সরণিতে। সে জন্য তৈরি হচ্ছে তিনটি ব্রিজ। ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই তিনটি ব্রিজ তৈরি হবে। এক বছরের মধ্যে এই কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
সৈকত সরণিতে হ্রাস দিঘার দূরত্ব
পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী এই পরিকল্পনা করেছেন। এই সৈকত সরণি হলে কাঁথি থেকে দিঘার দূরত্ব অনেকটাই কমে যাবে। এখন জাতীয় সড়ক দিয়ে কাঁথি থেকে দিঘার দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। আর সৈকত সরণি হয়ে গেলে সমুদ্রের ধার দিয়ে তৈরি রাস্তায় দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ২৪ কিলোমিটার।
দিঘায় নতুন জগন্নাথতীর্থের পরিকল্পনা
এূারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় ঘোষণা করেন দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ে তোলার কথা। ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার মাঝামাঝি সমুদ্রের ধারে একটি জগন্নাথ মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরকে ঘিরেই তিনি পুরীর আদলে জগন্নাথ তীর্থ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। খুব শীঘ্রই জগন্নাথ ঘাট হয়ে উঠবে জগন্নাথ তীর্থ।