‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’ যাদবপুরের ‘মাও-ঘাঁটি’ ওড়াব! দম থাকলে আটকাক, হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে যাদবপুরের মাও-নকশালদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ কড়া ভাষায় বলেন, ওরা যে ভাষায় বোঝে সেই ভাষাতেই উত্তর দেব আমরা।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে যাদবপুরের মাও-নকশালদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাবুল সুপ্রিয়-কাণ্ডে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কড়া ভাষায় বলেন, ওরা যে ভাষায় বোঝে সেই ভাষাতেই উত্তর দেব আমরা। আমরা চুপ রয়েছি বলে দুর্বলতা ভাববেন না, আমাদের এখন ক্ষমতা হয়েছে, দম থাকলে আটকে দেখাক।
পাকিস্তানে ঢুকে মেরে এসেছি, এবার...
যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এক যোগে যাদবপুরের বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, পাকিস্তানে ঢুকে আমরা মেরে এসেছি। যাদবপুরেও মাও-নকশাল ঘাঁটি ওড়াতে আমরা কসুর করব না। এখন জেএনএউ আর জেইউ সমার্থক হয়ে গিয়েছে।
শুধু দেশবিরোধী নয়, সমাজবিরোধীও
তিনি বলেন, যে বা যাঁরা বাবুলের চুল ধরে টেনেছে, তার ঠিকুজি-কুষ্ঠি বের করে আনব অচিরেই। তিনি ওই মাও-নকশালদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ওরা শুধু দেশবিরোধী নয়, সমাজবিরোধীও। তা না হলে একজন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে ছ-ঘণ্টা ধরে আটকে রাখত না ওরা।
বুদ্ধিজীবীরা আসলে দুর্বুদ্ধিজীবী
দিলীপ ঘোষ বলেন, একজন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে আটকে রাখা হল। কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এই কাজকে সমর্থ করতে পারে না। অথচ এ রাজ্যের একাংশ মানুষ তাদের সমর্থন করছে। তিনি বুদ্ধিজীবীদেরও একহাত নিয়ে জানান, তাঁরা আসলে দুর্বুদ্ধিজীবী। আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও কড়া সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ।
মুখ্যমন্ত্রী ও উপাচার্যেরও সমালোচনা
শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনায় তিনি বলেন, আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল ক্যাম্পাসে যেতেই পারেন। সেখানে কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যাদবপুরের ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও যাদবপুরের উপাচার্যকে কাঠগড়ায় তোলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন বাবুলের উপর নিগ্রহ হোক। আর উপাচার্যও কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর উপর নিগ্রহ রুখতে ব্যর্থ।
[রাজীবকে না পেয়ে স্ত্রী সঞ্চিতাকে জেরা! আদালতের রায়ের পর রাজ্যে সক্রিয় সিবিআই]
[অধীরের বিরুদ্ধে হেরেও হাল ছাড়ছেন না শুভেন্দু, স্থির করে ফেললেন ২১-এর টার্গেট]