ডিএ মামলায় হলফনামা পেশের সময় বেঁধে দিল স্যাট
হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশ করতে হবে স্যাট (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল)-এ।
ডিএ মামলা নিস্পত্তি করার জন্য স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালকে আগেই দু'মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন জানাল, হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশ করতে হবে স্যাট (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল)-এ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ এপ্রিল।
ডিএ
নিয়ে
রাজ্যের
হলফনামার
প্রেক্ষিতে
যদি
মামলাকারীদের
কোনও
বক্তব্য
থাকে
তাহলে
তা
জানাতে
হবে
আদালতে।
সোমবার
স্যাটের
বিচারক
রঞ্জিত
কুমার
বাগ
ও
বিচারক
সুবেশ
কুমার
দাসের
ডিভিশন
বেঞ্চে
ডিএ
মামলার
শুনানির
দিন
ছিল।
মামলাকারী রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, '৭ মার্চ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়ে রাজ্যের পুনর্বিবেচনার মামলা খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শেখর ববি সরাফ। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের রায়কেই বহাল রাখে।
সেইমতো নির্দেশ বহাল থাকলে, ডিএ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য ও তা পাওয়ার আইনি অধিকার তাঁদের রয়েছে। কিন্তু বকেয়া ডিএ পাওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি কমর্চারীরা সমান হারে ডিএ পাবেন কিনা এবং একই পদে কাজ করা দিল্লি ও চেন্নাইয়ে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও রাজ্যে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৈষম্য থাকবে কিনা তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয় স্যাটকে। একইসঙ্গে তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল রাজ্যকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হলফনামা পেশ করে রাজ্যকে তাদের বক্তব্য জানতে হবে।
আইনজীবী বলেন, তাহলে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টের রিভিউ মামলা খারিজের পর থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই হলনামা পেশ করতে হবে। এবং পরের এক সপ্তাহ মামলাকারীদের বক্তব্য পেশের জন্য সময়।
স্যাটের বিচারক রঞ্জিত কুমার বাগ ও বিচারক সবেশ কুমার বাগের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীর আইনজীবীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আগামী ১০ এপ্রিল মামলার শুনানি ধার্য করেন। সেদিন দুই পক্ষকে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে আদালতে পেশ করতে হবে।