নবমীর সন্ধ্যায়ই শহরের রাস্তায় জনপ্লাবন, মনে বিষাদের সুর
আজ নবমী৷ পুজোয় হুল্লোড়ের শেষ দিন৷ তাই শেষ মুহূর্তে পুজোর আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করতে প্রস্তুত তিলোত্তমা।
আজ নবমী৷ পুজোয় হুল্লোড়ের শেষ দিন৷ তাই শেষ মুহূর্তে পুজোর আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করতে প্রস্তুত তিলোত্তমা। সারা বছর ধরেই বাঙালি মেতে থাকে ১৩ পার্বণে। তবুও দুর্গোৎসব বাঙালির মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। বাঙালির হৃদয় মননে এই উৎসব নিয়ে আসে সর্বোৎকৃষ্ট আনন্দঘন মুহূর্ত। তাই পুজোর শেষ রাতের শেষ মুহূর্তের আনন্দ কোনও ভাবেই যাতে মিস না হয়ে যায় তার জন্য আগে ভাগেই প্ল্যান করে তৈরি আট থেকে আশি সকলেরই।
রাতভোর
ঠাকুর
দেখা৷
নিজেদের
প্যাণ্ডেলে
বসে
চলে
দেদার
আড্ডা,
ইয়ার্কি
আর
হই-হুল্লোড়৷
সাথে
ফুচকা,
আইসক্রিম,
কোল্ডড্রিঙ্ক
তো
আছেই।
এবার
তিতলির
ভ্রুকুটি
উপেক্ষা
করেই
রাজধানীতে
চতুর্থী
থেকেই
দেখা
গিয়েছে
মানুষের
ঢল।
লক্ষ্য
ছিল
একটাই,
পুজোর
কটা
দিন
আনন্দ
লুফে
নেওয়া।
আর?
উওর
থেকে
দক্ষিণ,
পূর্ব
থেকে
পশ্চিম
গোটা
কলকাতার
সব
কটি
পুজো
মণ্ডপে
পৌছনো।
চেতলা
অগ্রণী,
ত্রিধারা,
বাগবাজার,
সন্তোষ
মিত্র
স্কোয়ার,
বালিগঞ্জ
সর্বজনীন,
মহম্মদ
আলি
পার্ক,
দেশপ্রিয়
পার্কের
মতো
বড়
পুজোগুলোয়
দর্শনার্থীদের
ঢল
ছিল
চোখে
পড়ার
মতোই।
তাহলে সব পুজো তো দেখা! কিন্তু, তাতে কি? শেষ মুহূর্তে দর্শনার্থীদের আগ্রহ আর আবেগ ধরে রাখে কে? তাই রোদ পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুজো মণ্ডপগুলোতে এবছরের মতো শেষবার লক্ষ লক্ষ মানুষের আগমন শুরু হয়েছে।
বাঙালি
আর
দুর্গাপুজো
শব্দদুটি
একটি
অন্যটার
সাথে
ওতপ্রোত
ভাবে
জড়িয়ে
রয়েছে।
আর
সেই
সঙ্গে
জড়িত
বাঙালির
আবেগ,
উল্লাস,
উদ্দীপনা।
শারদীয়া
দুর্গোৎসবের
ঘণ্টা
বাজতেই
উমার
আগমনে
আকাশে
বাতাসে
ভেসে
বেড়ায়
পুজো
পুজো
গন্ধ।
শরতের
নীল
আকাশে
প্যাঁজা
তুলোর
মেঘ
আর
কাশফুলের
দোলা।
সব
মিলিয়ে
খুশির
স্রোতে
ভাসতে
ভাসতে
আপামর
বাঙালি
মায়ের
আসার
অপেক্ষায়
থাকে।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ
ভদ্রের
কন্ঠে
সেই
মহিষাসুরমর্দিনী
শুনতে
শুনতে
শুরু
হয়ে
যায়
দেবীপক্ষ।
কিন্তু
কোথা
থেকে
যে
'চার-পাঁচটা
দিন
কেটে
যায়
তার
টেরই
পাওয়া
যায়
না।
ষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের পর, সপ্তমী, অষ্টমীতে মা দুর্গাকে নানা ভাবে পূজা করা হয়। আপামর বাঙালি অঞ্জলি দেয়, প্রার্থনা করে, মায়ের আরাধনা করে ভক্তিভরে। এভাবেই কখন যে নবমীর রাত চলে আসে, আর থেকে থেকে বাজতে থাকে বিদায়ের সুর। দশমীর দিনে মাকে বিদায় বরণ করা হবে। ফলে এখন থেকেই যেন আকাশ-বাতাসে শুধুই বিষণ্ণতার সুর। 'আসছে বছর আবার এসো মা'। বিসর্জনের এই আবহের মধ্য দিয়েই নবমীর রাতে এবারের মতো শেষবার দেবী দর্শনে রাস্তায় নেমে পড়েছে আমবাঙালি।