রাহুলের ধাক্কায় মমতার রাজ্যে মোদীর সফর অনিশ্চিত! প্রশ্নের মুখে বিজেপির রথযাত্রাও
ছত্তিশগড়ের ক্ষমতা তো হারাতে হচ্ছেই, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতাও হারানোর মুখে গেরুয়া শিবির। এই অবস্থায় বঙ্গ সফর আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার ফলে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। ছত্তিশগড়ের ক্ষমতা তো হারাতে হচ্ছেই, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতাও হারানোর মুখে গেরুয়া শিবির। এই অবস্থায় বঙ্গ সফর আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রাজনৈতিক মহমল মনে করছে, পাঁচ রাজ্যে ধাক্কা খাওয়ার পর বঙ্গে রথযাত্রা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই প্রধানমন্ত্রী সভা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকেও মোদীজির বঙ্গ সফর নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। ওইদিন অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর অন্য কর্মসূচি রাখা হয়েছে। তাই ১৬ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সভা কার্যত বাতিল বলেই গণ্য হচ্ছে। বিজেপির যুক্তি, রথযাত্রা এখনও আইনি জটিলতা মুক্ত নয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর সভার ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্ব্র রথযাত্রা নিয়ে সমাধান সূত্র বের হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টে। তারপর মাঝে মাত্র একদিন পাওয়া যাবে, ১৬ ডিসেম্বরই শিলিগুড়িতে মোদীর সভা। তাই এই স্বল্প সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সভা করা থেকে বিরত হল বিজেপি। এ নিয়ে আবার বিরোধী মত, আইনি জটিলতা অনেক দিন আগেই শুরু হয়েছিল, তবে এখন বাতিল করা হল কেন?
বিরোধীদের যুক্তি, পাঁচ রাজ্যের ফলাফলে ধাক্কা খেয়েই বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর সভা বাতিল করেছে। এরপর প্রশ্ন উঠেছে রথযাত্রাও বাতিল হবে না তো? সেই জল্পনা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূল বা সিপিএমের উজ্জীবিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, বিজেপির রথযাত্রা হবে।
দিলীপ ঘোষের কথায়, কংগ্রেস এতদিন পরে জিতে বিজেপি সঙ্গে লড়াইয়ে এসেছে। ব্যস, এটুকুই। এর বেশি কিছু নয়। কংগ্রেসের এই জয়ে অনেকে বাইরে তেকে হাততালি দিচ্ছে, তারা জেতেওনি, আর ভোটে লড়াইও করেনি। লড়াই বিজেপি বনাম কংগ্রেসে, অন্যরা তাঁদের জয় বলে চালানোর চেষ্টা করছে।
তারা এই ভাবনা নিয়েই থাকুন, বঙ্গে রথযাত্রা হবে, গেরুয়া ঝড় উঠবে। তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলায় পরিবর্তন আনব আমরাই। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিজেপিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। ২০১৯-এ পতন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।